সংসদীয় কমিটি পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় সংঘটিত অগ্নিদুর্ঘটনায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
সংসদীয় কমিটি বলছে, এ দুর্ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের দায়-দায়িত্ব কী ছিল বা তাদের কোনো অবহেলা ছিল কি-না তা উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সংসদ ভবনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এতে মন্ত্রণালয়কে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে ফের সংশোধিত প্রতিবেদন উত্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে যে প্রতিবেদন উত্থাপন করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে ‘ধরি মাছ না ছুই পানি’ অবস্থা।
কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শাজাহান খান, মো. কামরুল ইসলাম এবং নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, আমি এই দপ্তরের মন্ত্রী। উত্তর লেখার সময় আমি বলেছি, এটা কি উত্তর হলো। কমিটির বৈঠকেও আমি বলেছি। তখন সবাই বলছে পরের বৈঠকে সঠিক উত্তরটা আসতে হবে।
বৈঠকের কার্যপত্রে দেখা গেছে, শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আহম্মদকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল ২২ ফেব্রুয়ারি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে। ১৩ মার্চ এই কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে।
এতে এই দুর্ঘটনায় কোন মন্ত্রণালয়ের কী দায়-দায়িত্ব তা কেন উল্লেখ করা হয়নি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব উম্মুল হাছনা গণমাধ্যমকে বলেন, কমিটির আগামী বৈঠকে বিষয়টি বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।
এদিকে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সেক্টরগুলোতে নতুন পে-স্কেল কার্যকরের বিষয়ে অগ্রগতি, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা বকেয়াদি এবং নৌ সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে ঢাকায় অবস্থিত তিনটি আদালতের মধ্য থেকে একটি শ্রম আদালত শ্রমঘন শিল্প এলাকা গাজীপুর জেলায় স্থানান্তরের সুপারিশ করা হয়েছে।