অসংখ্য কালজয়ী বাংলা গানের গায়ক সুবীর নন্দীকে বিদায় জানাল শিল্পী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।
বুধবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে সুবীর নন্দীর লাশ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসিত) নেয়া হলে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তাকে শেষ দেখায় কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। সহকর্মীদের কান্নায় সিক্ত হয় সুবীর নন্দীর কফিন।
এ সময় এফডিসিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, সেক্রেটারি বদিউল আলম খোকন, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, ড্যানি সিডাক।
শ্রদ্ধা জানানোর পর সুবীর নন্দীর মরদেহ নেয়া হবে চ্যানেল আইয়ে। সেখান থেকে রামকৃষ্ণ মিশন ও পরে সবুজবাগ শ্মশানে শেষকৃত্য হবে।
এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দীর কফিনে ফুল দিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পরিচালনায় শনিবার সকাল ১১টায় শহীদ মিনারে আনা হয় সুবীর নন্দীর মরদেহ। দুপুর ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চলে এ শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব।
তারকা শিল্পী, বিভিন্ন সংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ বরেণ্য এ শিল্পীকে ফুল দিয়ে শেষ স্রদ্ধা জানাতে আসেন। শেষ বারের মতো এক নজর দেখতে আসেন অনেকে।
সুবীর নন্দী মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে চারটায় সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। গত ৩০ এপ্রিল থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে মরদেহ ঢাকার হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ রাজধানীর গ্রিন রোডের গ্রিন ভিউ অ্যাপার্টমেন্টের বাসায় নেয়া হয়।
নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। ১৯৮১ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে বাজারে আসে। তবে চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে।