মূল্য তালিকা না থাকা ও বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি করায় কেরানীগঞ্জে ১১ মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
আজ বুধবার ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও কালীগঞ্জে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল এবং ঢাকা বিভাগের কার্যালয় সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়।
জরিমানা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-
১) জিনজিরার বাবুলের মাংসের দোকান
২) চাঁন মিয়ার মাংসের দোকান
৩) করিমের মাংসের দোকান
৪) রিপনের মাংসের দোকান
৫) কামাল মিয়ার মাংসের দোকান
৬) মোক্তার হোসেনের মাংসের দোকান
৭) সাত্তারের মাংসের দোকান
৮) মোহর আলীর মাংসের দোকান।
প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া একই উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারে অবস্থিত মায়ের দোয়া মাংসের দোকান, গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী গরুর মাংসের দোকান ও বিসমিল্লাহ মাংসের দোকানকে ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বাজারে বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে আজ কেরানীগঞ্জে অভিযান চালানো হয়। এখানে বেশিরভাগ দোকানে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এ ছাড়া অনেকে আইন অনুযায়ী মূল্য তালিকা টাঙায়নি। এসব অভিযোগে ১১টি মাংস বিক্রির প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির বৈঠকে রোজায় মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, রমজান মাসে দেশি গরুর মাংস ৫২৫, বোল্ডার (বিদেশি) গরুর মাংস ৫০০, মহিষ ৪৮০, ছাগল ও ভেড়ার মাংস ৬৫০ এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়। ১ থেকে ২৬ রমজান পর্যন্ত মাংসের এ দাম নির্ধারণ করা হয়।