যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভারের একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্কুলে দুই ছাত্রের গুলিতে এক সহপাঠী নিহত ও আরও সাত জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ডেনভারের হাইল্যান্ড র্যাঞ্চ এলাকার সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাথ (এসটিইএম) স্কুলের এ ঘটনার পর সন্দেহভাজন ওই দুই ছাত্রকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন ডগলাস কাউন্টি শেরিফ টনি স্প্রারলক।
ঘটনাস্থলেই ১৮ বছর বয়সী এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
‘দুই জন হেঁটে এসটিইএম স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করে দুই জায়গায় শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে,’ বলেছেন তিনি।
রয়টার্সকে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে স্পারলক জানিয়েছেন, দুই সন্দেহভাজনের কাছে দু’টি পিস্তল ছিল এবং তারা দু’টি ক্লাসরুমে গুলি ছুড়েছে। এদের একজন পূর্ণবয়স্ক ও অপরজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। স্কুলটিতে কিন্ডারগার্টেন থেকে ১২ গ্রেড পর্যন্ত ক্লাস নেয়া হয়।
প্রথম অভিযোগ পাওয়ার দুই মিনিটের মধ্যেই শেরিফের ডেপুটিরা স্কুলটিতে উপস্থিত হয়ে ‘সন্দেহভাজনদের আটক করে’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, শহরতলীর ওই স্কুলটি থেকে প্রায় দুই মাইল দূরে একটি বাড়ির সামনে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, এক সন্দেহভাজন এখানে বাস করতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ হামলার উদ্দেশ্যে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্কার হওয়া যায়নি। এ ঘটনার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
হাইল্যান্ড র্যাঞ্চের এই স্কুলটি থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে লিটলটনের কলম্বাইন হাই স্কুলে ১৯৯৯ সালে দুই ছাত্রের গুলিতে ১৩ জন নিহত হয়েছিল। পরে ওই দুই গুলিবর্ষণকারীও আত্মহত্যা করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে গুলিবর্ষণের ইতিহাসে অন্যতম প্রাণঘাতী ঘটনা হয়ে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাণঘাতী নির্বিচার গুলিবর্ষণের কয়েকটি ঘটনা কলোরাডোতে ঘটেছে। এর মধ্যে ২০১২ সালে ডেনভারের আরেকটি শহরতলীর অরোরা সিনেমা হলের গুলিবর্ষণে ১২ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছিল।