মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে ১৭ যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইট ড্যাশ-৮ কিউট-৪০০।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টায় বিশেষ ফ্লাইট বিজি ১০৬১ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এদিকে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরের রানওয়েতে ছিটকে পড়া বিমানে আহত ১৪ যাত্রী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি আহত চার যাত্রী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। তবে দুর্ঘটনা কবলিত কোনো যাত্রীকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।
আজ ভোরে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে বিশেষ ফ্লাইটটি ফিরে এসেছে। তারা অপেক্ষমাণ যাত্রী ছিলেন।
বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন সোয়েব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন সোয়েব চৌধুরীর নেতৃত্বে ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
বিশেষ এ ফ্লাইটে রয়েছে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন সোয়েব চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল। ফ্লাইটটি নিয়ে যান ক্যাপ্টেন আনিস।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে ইয়াঙ্গুনগামী ড্যাশ-৮ কিউট-৪০০ উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়লেও বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটির যাত্রীরা অল্পের জন্য রক্ষা পান। উড়োজাহাজটির পাইলট শামীম আহত হয়েছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, বিমানের বিজি ১৬০-এ মোট ৩৩ আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন পাইলট ও দুজন কেবিন ক্রুও ছিলেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, যাত্রীরা অক্ষত আছেন। তবে কয়েকজন যাত্রী হয়তো সামান্য ব্যথা পেয়েছেন। পাইলট ও যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা থেকে চিকিৎসক পাঠানো হয়।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মঞ্জুরুল করিম চৌধুরী বলেন, আরোহীদের সবাই অল্প আহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনার পর ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।