মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬১’র সুপারিশ

স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় সংসদ
ফাইল ছবি

বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধারে অবসরের সময় সীমা ৬০ বছর হলেও তা বাড়িয়ে ৬১ বছর করার ঘোষণা আগেই দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো বিষয়টি কার্যকর হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের এ বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আ স ম ফিরোজ, হাফিজ আহমদ মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, পনির উদ্দিন আহমেদ ও ফেরদৌসী ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

universel cardiac hospital

কমিটি সূত্র জানায়, বর্তমানে সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। আর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৯ বছর। মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স ৬০ বছর।

তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ ও বিচারপতিরা ৬৭ বছর বয়সে অবসরের সুবিধা পাচ্ছেন। চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি থাকলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ৬১ বছর করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এদিকে, বৈঠকে আলোচনা শেষে দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত মূল্যায়ণ পদ্ধতি ও ক্যারিয়ার প্ল্যানিং আরো আধুনিক ও সময়োপযোগী করার সুপারিশ করা হয়েছে।

আর সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশে কী ধরনের পদ্ধতি প্রচলিত আছে তা পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সচিবালয়ের ন্যায় অন্যান্য দপ্তরের প্রধান সহকারী, সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমপদগুলোর পদবী পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করাসহ বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে