দলের সাথে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন ব্যাকআপ উইকেটরক্ষক হিসেবে। তার ব্যাটিং নিয়ে ছিলো না তেমন কোন উচ্চাশা। অথচ সফরের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ৬৩ এবং অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস খেলে টিম ম্যানেজম্যান্টকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেন ১৮ বছরের ‘সেই ছোট্ট’ ক্রিকেটার।
যার ফলে ওই সফরের ১ম টেস্টে ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামিয়ে দেয়া হয় ১৮ বছরের তরুণ মুশফিকুর রহিমকে। ম্যাচে দুই ইনিংস মিলে রান করেন মাত্র ২৯ (২০ ও ৯), ইনজুরির কারণে বাদ পড়ে যান দ্বিতীয় টেস্টের একাদশ থেকে।
২০০৫ সালে ঐতিহাসিক লর্ডসে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া ছোট্ট মুশফিকের আজ ৩২তম জন্মদিন। নিজের জন্মদিনকে রাঙিয়ে রাখার সুযোগ থাকছে তার নিজের হাতেই। ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে আজ বাংলাদেশ। এ ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি নিশ্চয়ই মুশফিককে জন্মদিনের উপহার দিতেও মুখিয়ে থাকবে বাংলাদেশ দল।
তবে আজ থেকে প্রায় ১৪ বছর আগে ২৬ মে তারিখে লর্ডসে শুরু হয়েছিল একজন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকের যে যাত্রা, তা আজও চলমান তার আপন মহিমায়।
প্রায় দেড় দশকের এ যাত্রায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাঁটি হাঁটি পা পা থেকে শুরু করে শক্ত সামর্থ্য হয়ে দৌড়ানো পর্যন্ত- প্রত্যেক ঘটনার সাক্ষী মুশফিক।
২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। তার অধীনে বাংলাদেশ টেস্টে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, শ্রীলংকার মত পরাশক্তিদের। প্রথমবারের মতো খেলেছে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে। সবমিলিয়ে ৩৭টি ওয়ানডে, ৩৪টি টেস্ট এবং ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক।
এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬টি টেস্ট খেলেছেন মুশফিক। দেশের ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান এবং এখনো পর্যন্ত একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ২টি ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিক মোট ৬টি সেঞ্চুরিতে ৩৫.১৪ গড়ে রান করেছেন ৪০০৬।
রঙিন পোশাকের ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০২ ম্যাচ খেলে ৩৪.৭৬ গড়ে মুশফিকের রান ৫৪৪২, সেঞ্চুরি ৬টি।
ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতেও টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৭টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৪ ফিফটিতে মুশফিকের নামের পাশে রয়েছে ১১৩৭ রান।