মিয়ানমারে একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স। এজন্য বিমান বাংলাদেশ ঢাকা-রাজশাহী রুটে চার দিনের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
রাজশাহীর হজরত শাহমখদুম (র.) বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সেতাফুর রহমান বলেন, শুক্রবার থেকেই বিমান বাংলাদেশ তাদের যাত্রা বাতিল করেছে। তবে কেন বাতিল হয়েছে তা তিনি জানেন না।
জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশের রাজশাহী সেলস অফিসের কমার্সিয়াল অ্যাসিসট্যান্ট রামেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে ১০, ১১, ও ১২ এবং ১৪ মে বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তবে ১৩ মে বিমান চলাচল করবে।
তিনি জানান, মিয়ানমারে দুর্ঘটনা কবলিত ড্যাশ-৮ মডেলের উড়োজাহাজটি মিয়ানমার, নেপাল ও ভারতের কলকাতা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করত।
সেটি দুর্ঘটনায় পড়ায় বিমানের শিডিউল ‘এলোমেলো’ হয়ে পড়েছে। আর এজন্যই ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
শাহমখদুম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সপ্তাহের সাত দিনই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
প্রতিদিন বিমানের উড়োজাহাজ বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে রাজশাহীতে নামে। এর ২৫ মিনিট পর আবার যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে উড়োজাহাজটি।
সাতটি ফ্লাইট বাতিল
এদিকে মিয়ানমারে একটি ফ্লাইট দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় উড়োজাহাজ সংকটে শুক্রবার (১০ মে) থেকে সোমবার পর্যন্ত সিলেট, রাজশাহী, যশোর ও সৈয়দপুর রুটে বাংলাদেশ বিমানের সাতটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বিমানের গণসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ গণমাধ্যমকে জানান এই তথ্য। বাংলাদেশ বিমানের চলমান শিডিউল বিপর্যয় ১৩ মে স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।
- আরও পড়ুন>> ফারমার্স ব্যাংকে ৫শ’ কোটি টাকা জালিয়াতি
শাকিল মেরাজ বলেন, ১২ তারিখের পর থেকে আমাদের সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আজকে আমাদের বহরে যুক্ত বিমানের পঞ্চম রোয়িং-৭৩৭৮০০ এর উড়োজাহাজ।
যেটি আমরা কুয়েতভিত্তিক উড়োজাহাজ লিজ দাতা প্রতিষ্ঠান আলাস্কো থেকে লিজের মাধ্যমে আমরা সংগ্রহ করছি। এটা আজকে এসে পৌঁছাবে।
শাকিল বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট পাশাপাশি ঢাকা কক্সবাজার এই তিনটি রুটে আমরা সাপোর্ট দিতে পারবো। সেক্ষেত্রে, এই তিনটি রুটে সাপোর্ট দিলে যে দুটি ড্যাসিং বহরে রয়েছে তাদের ওপর চাপ কমে যাবে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট অবতরণ করার সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এতে কেউ নিহত না হলেও পাইলটসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। আর বিমানটি বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়।