রাজধানীর পল্টন জিরো পয়েন্টে থেকে অর্থ মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রাকালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশি বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তিও হয়। পরে বাম দলের নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজের নেতৃত্বে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা।
আজ রোববার রাজধানীর পল্টন জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের ঋণ মওকুফ করার জন্য দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে? বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দিয়েছে? আপনি কোন ক্ষমতাবলে, কোন নির্দেশনায় ব্যাংক লুটেরাদের সুবিধা দেয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন? আমরা এ উদ্যোগের নিন্দা জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখছি অনেকে ঋণখেলাপি হতে চায়। ঋণখেলাপি হতে পারলে আর কোনো টাকা ফেরত দিতে হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা উড়ে যায় ফিলিপাইনসহ বিদেশের জুয়ার আড্ডায়। আমাদের এখানে রাষ্ট্রীয় কোষাগারগুলোকে খালি করে দেয়া হয়েছে লুটপাটের জন্য, দুর্নীতির জন্য। অন্যদিকে কৃষকদের ৫০০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ আদায়ের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬৭ হাজার মামলা দায়ের করেছে। সরকার ন্যূনতম এ কৃষি ঋণ মওকুফ করার পরিবর্তে লুটেরাদের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পাঁয়তারা করছে। আমরা সরকারকে বলেছি, এ তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করুন।’
- আরও পড়ুন >> নুসরাত হত্যা : ফেনীর এসপিও শাস্তির আওতায় আসছেন
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন গত কয়েকদিন শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে। গত এক মাসে কয়েক হাজার কোটি টাকা শেয়ার মার্কেট থেকে তারা সরিয়ে নিয়েছে। এ দুর্নীতিবাজদের কোনো টাকা বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে থাকে না। আপনারা জানেন, কানাডা থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম মনে করে তারা গাড়ি, বাড়ি, বৃত্ত ব্যবসার নাম করে এ টাকা বাইরে পাচার করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কতগুলো টাকা যে লোপাট হলো, সেই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে হরিলুট চলছে। কিন্তু কারো বিরুদ্ধে দেখলাম না দুদক থেকে কোনো মামলা করতে, ব্যবস্থা নিতে।’
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সাইফুল হক বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে যদি এ ঋণ উদ্ধার করতে না পারেন তাহলে অবিলম্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করুন। লুটপাটের এ সংস্কৃতি থেকে বাম জোট বাংলাদেশকে বের করে আনতে চায়।’
বিক্ষোভ সমাবেশে বাম দলের নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, মোশারফ হোসেন নান্নু, শাহ আলম, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মানস নন্দীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।