রোজায় যা খাবেন, যা খাবেন না

ডেস্ক রিপোর্ট

খাবার
ফাইল ছবি

রোজায় খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে আমরা বেশ অনিয়ন্ত্রিত। ইফতারি কিংবা সেহরিতে আমরা যে কতকিছু খাই, তার হিসেব নেই। তবে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে না গিয়ে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা উচিত আমাদের খাদ্য তালিকা। 

রোজায় পানিশূন্যতা হয়, বিশেষ করে এই গরমে। তাই ইফতারে শরবত ও ফলের রস রাখুন। ডাবের পানি খেতে পারেন। আর ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত বারবার পানি পান করুন। তিন থেকে চার লিটার পানি পান করলে আপনার সারাদিনের পানিশূন্যতা পূরণ হয়ে যাবে। 

ভেজানো ছোলা ও চিড়া খেতে পারেন ইফতারে। আর খালি পেটে একদম ঠাণ্ডা পানি না খাওয়াই ভালো। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা চিনি ও টক দই দিয়ে চিড়া খাবেন। 

প্রতিদিনের ইফতারে কয়েক রকম ফল রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে খেজুর, আপেল, কমলা, ডালিম, পেঁপে, কলা, তরমুজ, পেয়ারা, বাঙ্গি এই জাতীয় ফল বেশি খাবেন। এগুলো যেমন পেট ঠাণ্ডা রাখে, তেমনি পানিশূন্যতাও দূর করে। 

রাতের খাবার কিছুটা হালকা ও সহজে হজম হয় এমন হওয়া উচিত। তাই ভাতের সঙ্গে সবজি বেশি থাকা চাই। যেমন লাউশাক, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, শসা, পটোল, ঝিঙে, কচুশাক, কচু ইত্যাদির তরকারি, এক টুকরা বড় মাছ অথবা মাংস খেতে পারেন। তবে কম মসলা দিয়ে রান্না করা মাছ বেশি উপকারী। 

শুকনো ফল খেতে পারেন রাতের খাবারের পর। যেমন কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, খেজুর, আখরোট, শুকনো নারিকেল, কিশমিশ। এই মিক্সড ফ্রুট কিনতেও পাওয়া যায় বা আপনি আলাদা করে খেতে পারেন। এগুলোয় প্রচুর ক্যালরি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে পুষ্টিগুণ। 

সেহরিতে ভাত, রুটি, মসুর ডাল, শাকসবজি বেশি পরিমাণে খাবেন। শর্করা ও আমিষজাতীয় খাবারগুলো পাকস্থলীতে পরিপাক হতে অনেক সময় লাগে। তাতে ক্ষুধা কম হয়। হ সেহরি খাওয়ার পর দুধ খেতে পারেন একটু পানি মিশিয়ে অথবা দুধ-ভাতের সঙ্গে কলা। ডায়াবেটিস থাকলে চিনি খাবেন না। 

রোজার মাসে অতিরিক্ত চা ও কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ ক্যাফেইন পানিশূন্যতা বাড়ায়। ধূমপান পরিহার করুন অবশ্যই।

অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার পরিহার করুন। এতে হজমের সমস্যাসহ এসিডিটি ও নানা জটিলতা হতে পারে।

সেহরি বা ইফতারে পোলাও, বিরিয়ানি জাতীয় খাবার খাবেন না। এগুলো একদমই স্বাস্থ্যসম্মত হবে না। তেল মসলা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। 

সোডাজাতীয় খাবার ও অ্যালকোহলিক কোনো কিছু খাবেন না। চকোলেটের বদলে ফলের জুস খাবেন। সারাদিনের রোজার পর এগুলো গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যার কারণ হতে পারে। 

সারাদিন খেতে পারবেন না বলে সেহেরিতে পেটভর্তি খাবার খাবেন না। পারলে এক-চতুর্থাংশ খালি রাখবেন। এতে অলসতা আসবে না। আর একবারে বেশি পানি পান করবেন না।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে