বিদেশ ফেরত ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ড টেকসই করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়নে সহায়তা দিতে বাংলাদেশ সরকারকে দুই লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ এবং আইওএমের পক্ষেডিপুটি চিফ ও মিশন শ্যারন ডিমানচে স্বাক্ষর করেন।
‘বাংলাদেশ : ডেবট মেডিয়েশন ফর রিটার্নি মাইগ্র্যান্টস’ শিরোনামের প্রকল্পটি চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ থেকে প্রায়ই কিছু সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশী অনিয়মিত চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশে গমন করে, যা ঝুঁকিপূর্ণ ও অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। গরিব অভিবাসন প্রত্যাশীরা সাধারণত স্থানীয় মহাজন শ্রেণির লোকের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে দালালের মাধ্যমে বিদেশে যায়। গন্তব্য দেশে পৌঁছানোর পর নানাবিধ আইনি জটিলতায় পড়ে অনেক সময় তারা নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরে। পরে সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে মহাজনের ঋণ পরিশোধে ব্যস্ত থাকে। ফলে তাদের পরিবারকে আরও দরিদ্র ও সামাজিক দুরবস্থার মধ্যে পড়তে হয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে আইওএম আলোচ্য ‘বাংলাদেশ : ডেবট মেডিয়েশন ফর রিটার্নি মাইগ্র্যান্টস’ শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাব করে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ফেরত ঋণগ্রস্ত অভিবাসীদের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের প্রমাণনির্ভর নীতি নির্ধারণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়নের সহায়তা দেয়া হবে।
এ সহায়তা ফেরত আসা অভিবাসীদের আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে টেকসই ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে সহায়ক হবে।
সুলতানা আফরোজ বলেন, এটা একটা পাইলট প্রকল্প। এ প্রকল্পে গবেষণা করাটা মূল বিষয়। অভিবাসীরা যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফেরত আসে, তখন যাদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিল, তারা উৎপাত শুরু করে। অনেক সময় খুনোখুনির ঘটনাও ঘটে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফিরে আসছে, এই অবস্থা থেকে বের করে আনতে হলে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন করা দরকার। গবেষণাটা আমাদের এই দিকে নিয়ে যাবে, যাতে পরবর্তীতে আমরা বড় প্রকল্প নিয়ে তাদেরকে সাহায্য করতে পারি।