অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনে ধর্ষণ মামলার পুনঃতদন্ত শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ফাইল ছবি

উইকিলিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার পুনঃতদন্ত শুরু করেছে সুইডেন। দেশটির কর্তৃপক্ষ বাদীপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় তদন্তের পদক্ষেপ নিয়েছে। খবর বিবিসির।

অ্যাসাঞ্জ দীর্ঘ ৭ বছর লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকায় এতদিন মামলাটি নিয়ে অগ্রসর হতে পারেনি সুইডেন।

universel cardiac hospital

তবে গত এপ্রিলে ইকুয়েডর কর্তৃপক্ষ লন্ডনে পুলিশ ডেকে ৪৭ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জকে ধরিয়ে দেওয়ার পর পুরনো ওই ধর্ষণ মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়টি সামনে আসে।

সেই গোপন তারবার্তায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিন কূটনীতিকদের নানা তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে বিপাকে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

২০১০ সালে পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ গোপন তারবার্তা ও নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে উইকিলিকস ও এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।

উদ্ভূত পরিস্থিতি অ্যাঞ্জাসকে নিজেদের জিম্মায় নিতে নানা তৎপরতা শুরু করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ, যদিও তাদের সেই তৎপরতায় সফলতা আসেনি।

এরই মধ্যে দুই নারীকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০১০ সালের আগস্টে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সুইডেনের আদালত। তবে একদিনের মাথায় পরোয়ানা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন অ্যাসাঞ্জ।

তবে সে দেশে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে ২০১০ সালের নভেম্বরে আবারও অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরোয়ানা জারি করা হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে তিনি যুক্তরাজ্যের আদালতে আত্মসমর্পণের ১০ দিনের মাথায় জামিন পান।

অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা আদালতে নতুন পরোয়ানাকে অবৈধ দাবি করলেও ২০১২ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যের আদালত একে বৈধ বলে রায় দেয়। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য থেকে সুইডেনে বা যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হতে পারে আশঙ্কায় জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে ২০১২ সালের জুন মাসে অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডর দূতাবাসে যান এবং রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে গত ১ মে তাকে ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সুইডেনে করা ওই মামলা প্রায় এক দশক ধরে ঝুলে ছিল। ২০১০ সালে ‍দুই সুইডিশ নারী ওই মামলা করেছিলেন। ২০১৫ সালে স্ট্যাচু অব লিমিটেশন ধারায় সেটি বাতিল হয়ে যায় এবং ২০১৭ সালে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। সে সময় অবশ্য প্রসিকিউটর বলেছিলেন, পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে ওই মামলা আবার শুরু হতে পারে।

এপ্রিলে অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতারের পর বাদীর আইনজীবী পুনরায় সেই মামলা ‍শুরুর দাবি তোলেন। তবে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীদের আশঙ্কা সুইডেনে গেলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হতে পারে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে