রাষ্ট্রপতির কাছে দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

রাষ্ট্রপতির কাছে দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ
ছবি : সংগৃহিত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে ২০১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছে।

বঙ্গভবনে আজ সোমবার বিকেলে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে কমিশনের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ প্রতিবেদন পেশ করে।

universel cardiac hospital

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম ও সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের অনুশাসন অনুসারে প্রতি বছর এ প্রতিবেদন রাষ্টপতির কাছে দাখিল করা হয়।

প্রতিবেদনটি হস্তান্তর শেষে বঙ্গভবনের বহিরাঙ্গনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রপতি দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অনুসরণ করতে বলেছেন। তিনি শ্রেণিকক্ষে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য করণীয় সবকিছু করতে পরামর্শ দিয়েছেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রপতি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও দুর্নীতি নির্মূলে কমিশনকে পরমর্শ দিয়ে বলেছেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পেতে হলে স্বাস্থ্য এবং মানসম্মত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত কর্মীদের যদি কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের খবর আসে তাও যেন কমিশনের নজরে থাকে সে বিষয়েও রাষ্ট্রপতি পরামর্শ প্রদান করেছেন।

দুদক সরকারের তল্পিবাহক এমন এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অসম্ভব। দুদক কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। যে কারণে দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের কাছে দাখিল না করে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে বঙ্গভবনে এসে দাখিল করছি। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে দুদকের সরকার বা অন্য কোনো সংস্থার তল্পিবাহক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

দুদক শুধু চুনোপুটিদের ধরে এমন এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এ দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করেন। তারাই এ কথিত চুনোপুটির দুর্নীতি, অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহারে শিকার। কারণ তৃণমূল পর্যায়ে এসব চুনোপুটিরাই সরকারি সেবা প্রদান করে থাকেন। তাই গ্রামের এ সাধারণ মানুষকে যে বা যারা দুর্নীতি অনিয়মের শিকার বানাবেন তাদের ন্যূনতম ছাড় দেয়া হবে না। এসব চুনোপুটিদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া আরও দৃঢ় করা হবে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যে বা যারা সরকারি সম্পত্তি যেমন রেলের জায়গা, সড়ক বিভাগের জায়গা, গণপূর্ত কিংবা খাস জমি, বন বিভাগের জমি, চান্দিনা ভিটা, ইত্যাদি জমি/সম্পদ অবৈধভাবে দখল করে বিলাসবহুল রিসোর্ট বানিয়েছেন কিংবা অন্য কোনোভাবে দখল করে রেখেছেন তাদের কমিশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাই এসব সম্পত্তি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থায় ফিরিয়ে দিন, জনগণের সম্পদ জনগণকে ফিরিয়ে দিতেই হবে, নইলে কঠোর আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাত নিয়ে কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট। ব্যাংক তার নিজস্ব বিধি-বিধান অনুসারে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করবে তাতে কমিশন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। ব্যাংকিং নিয়ম-কানুন মেনে ব্যবসায়ীরা ঋণ নেবেন এবং ব্যাংকাররা ঋণ দেবেন এতে দুদক কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। তবে পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি এবং প্রতারণা করে ব্যাংকের অর্থ লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখা হবে। আমাদের বক্তব্য, যারা ব্যাংক থেকে অবৈধভাবে ঋণ নিয়েছেন বা ঋণ দিয়েছেন তারা জনগণের এ অর্থ সমন্বয় করুন নইলে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।

দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে