সাংগঠনিক নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের এক বছর পর এ কমিটি চূড়ান্ত করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল।
২০১৮ সালের ৩১ জুলাই মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেন শেখ হাসিনা।
আগামী দুই বছরের জন্য এই কমিটি অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিও অনুমোদন দেয়া হয়।
সভানেত্রীর পক্ষে কমিটি ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান সঞ্জিত চন্দ্র দাস। তার রানিং মেট হিসেবে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন সাদ্দাম হোসাইন।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মো. ইব্রাহিম; সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয় এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণে মেহেদী হাসান সভাপতি ও মো. জোবায়ের আহমেদ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৩৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী একই বিভাগের ৩৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি মাদারীপুরে।
এদিকে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ৩৭তম ব্যাচের। তার বাড়ি ময়মনসিংহে। আর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন সাদ্দাম ৩৯ ব্যাচের। তার পঞ্চগড়ে।