চেক করার নামে পকেটে মাদক দেওয়া অভিযোগ তুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইশতিয়াক রায়হান নামের এক শিক্ষার্থী।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, আমার মতন সচেতন মানুষকে পুলিশ যদি পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে ফাঁসাতে চায় তাহলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা।
নিম্নে তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:-
সাবধানতা পোষ্ট:
আজ (গতকাল) রাত ৯ টায় আমি সাইকেলে করে টিউশন থেকে ফিরছিলাম। গুলিস্তান রাষ্ট্রপতির বাসভবনের পাশে আমাকে পুলিশ থামালো। সাইকেল সাধারণত পুলিশ থামানোর কথা না। থামিয়ে আমাকে বলে চেক করতে হবে। আমি বললাম ঠিক আছে চেক করেন কিন্তু কোনো পকেটে হাত দেবেন না, আমি দেখাচ্ছি আপনাকে সব।
তিনি জিজ্ঞেস করলেন কী করেন? আমি বললাম স্টুডেন্ট-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ কথা বলাতে যেন চেক করার গতি আরো বেড়ে গেলো। আমি তাকে বারবার বলতে লাগলাম আমি পকেটের সবকিছু দেখাচ্ছি আপনি হাত দিবেন না, তারপরও তিনি আমার পকেট এবং প্যান্টের সব জায়গায় চেক করতে লাগলেন।
১০ মিনিটের মত চেক করে আমাকে ছাড়লেন। আমার কিছুটা ডাউট লাগলো, আমি সামনে কিছুদূর গিয়ে সাইকেল থামিয়ে প্যান্টের পেছনের পকেটে হাত দিলাম। দেখলাম সাদা কাগজে মোড়ানো দুটি লাল রঙের ট্যাবলেট (সম্ভবত ইয়াবা)।
আমি বুঝতে পারছিলাম যে সামনের চেকে পুলিশ আমাকে ধরবে এবং এই ট্যাবলেট প্যান্টের পকেট থেকে হাত দিয়ে বের করবে। তাদের সবকিছুই পূর্বপরিকল্পিত ছিল। আমি আস্তে করে রাস্তার পাশে প্যাকেটটা ফেলে দিয়ে সামনে এগোতে লাগলাম এবং যথারীতি সামনের চেকে পুলিশ আমাকে ধরলো।
- আরও পড়ুন>> পাবনায় দুই কোটি টাকার কোকেনসহ ২ যুবক আটক
যখন আমি সেখান দিয়ে পার হচ্ছিলাম আরো দুটি সাইকেল আমার সাথে পার হচ্ছিল কিন্তু তাদের ধরল না। (প্রথম যে পুলিশ আমাকে ধরেছিল সে সম্ভবত দ্বিতীয় জনকে আমার সাইকেলের রং এবং নাম বলে দিয়েছিল যাতে করে তারা সহজে ধরতে পারে।)
আমার কাছে তখন পুরো সম্পূর্ণ ব্যাপারটা পানির মত পরিস্কার। সে বারবার আমার পিছনে পকেটে হাত দিয়ে চেক করতে লাগল সামনের পকেটের দিকে যেন তার কোন আগ্রহ নেই। কিছু না পেয়ে হতাশ হয়ে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দিল।
রমজান মাসেও তারা এসব করা ছাড়লো না।
আজকে আমি রক্ষা পেলাম। কিন্তু পরের বার যে কখন কি দুর্ঘটনা ঘটে যায় কিছু বলা যায় না। এভাবে হয়তো একটি ছাত্রের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে সবাই সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
পুলিশ মানুষের বন্ধু এ কথাটায় আমরা ভরসা রাখতে চাই। কিন্তু এইরকম বন্ধুদের জন্য কতটুকু পারব??
-ইশতিয়াক রায়হান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়