পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে একটি মসজিদের কাছে মোটরসাইকেলে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে অন্তত চার পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
সোমবার দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানীর এ ঘটনায় আরও চার পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশের একটি টহল গাড়িকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছে।
ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে পাকিস্তান তালেবান নামে পরিচিত নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে।
মাত্র কিছু দিন আগে লাহোরে প্রভাবশালী এক সুফি সাধকের মাজারের কাছে পাহারারত পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী বোমা হামলার দায়ও এই জঙ্গিগোষ্ঠীটি স্বীকার করেছিল।
বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল্লাহ লাংগোভ জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় লোকজন মাগরেবের নামাজ আদায় করার সময় মসজিদের কাছে পাহারারত পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
কোয়েটার পুলিশ প্রধান আব্দুল রাজ্জাক চীমা জানিয়েছেন, নিহত চার জনই পুলিশ সদস্য এবং আহতদের মধ্যেও চার পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
রোজার মাসে দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে উচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর চারপাশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বসানো হয়েছে। তারপরও রোজার মাসে দেশটিতে এ পর্যন্ত তিনটি প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটলো।
৮ মে দ্বিতীয় রোজার দিন লাহোরে ‘দাতা গঞ্জে বক্শ’ নামে পরিচিত সুফি আলি বিন উসমান আল হাজভেরির মাজার ‘দাতা দরবার’ এর সামনে বোমা হামলায় আট পুলিশসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হন।
এরপর মাত্র তিন দিন আগে শনিবার বন্দরনগরী গওয়াদরের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীরা হামলা চালায়। ওই হামলায় হোটেলের এক নিরাপত্তা রক্ষীসহ অন্তত পাঁচ জন নিহত হন।