বগুড়ার শিবগঞ্জে মামীকে হত্যার পর ভাগ্নে আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলেয়া বেগম (৩৫) এবং আত্মহত্যাকারী ভাগ্নে আপেল মিয়ার (২১) মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত আলেয়া বেগম ভাগকোলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। আপেল মিয়ার বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের টেপাগাড়ি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পেশায় কাঠ মিস্ত্রি আপেল মিয়া তার নানার বাড়িতে থাকতো। কয়েক দিন ধরে তার সঙ্গে আলেয়া বেগমের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দু’জন তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে আপেল তার কাছে থাকা কাঠ কাটার ধারালো বাটাল দিয়ে মামী আলেয়া বেগমকে আঘাত করে। এতে তার কান, বুক ও পেটে গুরুতর জখম হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরে আপেল মিয়া নানার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি পরিত্যক্ত ভবনে গিয়ে ধারালো সেই বাটাল দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করে। এতে তার ভুড়ি বেড়িয়ে আসে এবং মারা যান তিনি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আপেল মিয়া তার মামী আলেয়া বেগমকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। মামী তা প্রত্যাখ্যান করে। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে সালিশও হয়েছিল। সালিশে আপেলকে নানার বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়। তখন থেকেই আপেল তার মামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
তবে শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, প্রেমঘটিত কোন ব্যাপার নয় মূলত পারিবারিক কলহের জের ধরে আপেল মিয়া প্রথমে তার মামীকে হত্যা করে। পরে সে নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
তিনি বলেন, খবর পাওয়ার পর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দু’জনের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।