ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আবদেল আবদুল মাহদি যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের যুদ্ধ চায় না বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (ইনা) এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ইরাক দেশ দুইটির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। খবর ইয়েনি শাফাকের।
আবদুল মাহদি বলেন, এ সঙ্কট নিয়ে ওয়াশিংটন এবং তেহরানের সঙ্গে ইরাক একটি কার্যকর সমাধান বের করতে তৎপরতা চালাচ্ছে।
এর আগে সোমবার ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-হাকিম টেলিফোনে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি নিয়ে ফোনে কথা বলেন।
দুই দেশের কূটনৈতিক আলাপের পর ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, সঙ্কটের সময় এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে প্রভাবশালী ছয়টি দেশের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা চুক্তি হয়। গত বছর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ চুক্তি থেকে বের হয়ে গেল দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর তেহরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহর হরমুজ প্রণালীতে রয়েছে। উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এবং নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইরানি ও তাদের ছায়া বাহিনীর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতির প্রতিরোধক হিসেবে এই রণতরী ও বোমারু বিমান মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বোল্টন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ ধরনের কোনো হামলা হলে কঠোর শক্তি প্রয়োগ করে জবাব দেয়া হবে।
এছাড়া ইরানের হুমকির জবাবে কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে বি-৫২ স্ট্রাটোফোরট্রেস বোমারু বিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সপ্তাহে দু’টি সৌদি তেলের ট্যাঙ্কার এবং একটি নরওয়ের জাহাজ রহস্যজনকভাবে ওমান উপসাগীয় এলাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই অঞ্চলটি জাহাজ চলাচলে ব্যস্ততম এলাকা। এর আগে ইরান এ প্রণালী বন্ধের হুমকি দিয়েছিল।