১৪ নভেম্বর খালেদা-তারেকের ঋণখেলাপি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

আইন ও বিচার ডেস্ক

খালেদা-তারেক
খালেদা-তারেক

ড্যান্ডি ডায়িংয়ের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের করা ৪৫ কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৬ বিবাদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বুধবার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কিন্তু হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম ফের ৬ মাসের জন্য স্থগিত করায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরা।

ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন বিবাদীপক্ষের সময়ের আবেদনের মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন।

universel cardiac hospital

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডায়িংয়ের অনুকূলে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করে।

২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে। পরবর্তীতে বিবাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক আবারও ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ করে দেয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বার বার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিশ দেয়া হলেও তারা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি। ফলে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব মামলায় তার মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদী করার জন্য ২০১৫ সালের ৮ মার্চ আদালতে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসান আরা হ্যাপী এ মামলায় তাদের বিবাদী করেন।একই বছরের ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান।

২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াসহ ১৬ বিবাদীর বিরুদ্ধে ইস্যু গঠন করেন আদালত। এ মামলার বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেড, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান, প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে