“ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করতে পারছে না। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন অনুযায়ী ইরান পরমাণু সমঝোতা বজায় রাখলেও যুক্তরাষ্ট্র সে চুক্তি থেকে বের হয়ে যায়।”
ইরানের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত কৌশলগত পরিষদের প্রধান কামাল খাররাজি বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপ করতে চায়, ইরান তাদের দৃঢ়ভাবে চুরমার করে দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ফ্রান্সের গণমাধ্যমে ‘ফ্রান্স২৪’ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে খাররাজি ওমান সাগরে তেল ট্যাঙ্কারগুলোর সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা সন্দেহজনক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি এই বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য জোর দিয়েছেন।
খাররাজি বলেন, ইরান আশা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৎপরতা তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক সমঝোতা রক্ষা করবে। তবে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ এবং সবাইকে সাবধান হওয়া উচিত।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্বেষ নতুন কিছু নয়। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে এবং তাদের দাবি, তারা ইরানে রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তন করার পরেই রয়েছে।
হরমুজ প্রণালী বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ইরান জাতীয় স্বার্থ ও তেল রফতানির ওপর ভিত্তি করে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করতে সক্ষম।
ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তুতির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক দাবির বিষয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ট্রাম্পের উদ্দেশ্য হলো ইরানের ওপর চাপ রাখা।
এর আগে জেসিপিওএ প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ইরান ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ৬০ দিনের আলটিমেটাম দেয়।
খাররাজ বলেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করতে পারছে না। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন অনুযায়ী ইরান পরমাণু সমঝোতা বজায় রাখলেও যুক্তরাষ্ট্র সে চুক্তি থেকে বের হয়ে যায়।
- মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় দেশে ফিরতে পেরেছি : ওবায়দুল কাদের
- সৌদিতে মিলছে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
- ২০ দলীয় জোটের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত অলি
৬০ দিনের আল্টিমেটামে ইউরোপ জেসিপিওএ অধীনে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে তাহলে ইরানের অধিকার রয়েছে সেখান থেকে ফিরে আসা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ইউরোপ যদি ইরানের ব্যাংকিং ও বাণিজ্যখাতে বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারে।