যারা খাদ্যে ভেজাল দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী খাদ্য নিরাপদ আইন ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ করে দিয়েছে। সেই সাথে জঙ্গিবাদ, মাদক ও বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার খাদ্যে ভেজাল, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খাদ্যে ভেজাল নির্মূলে ১৯টি মন্ত্রণালয় ও ৪৬৫টি সংস্থা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগে মানুষকে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা এখন পেট ভরে খেতে পারি। তবে আমাদের লক্ষ্য শুধু পেট ভরে খাওয়া নয়, আমরা যা খাচ্ছি, তা যেন পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ হয়। মানুষ এখন নিরাপদ খাদ্য নিয়ে চিন্তা করে। ভেজাল নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছি।
নওগাঁর আইন শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, মাদক ও বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ থেকে মাদককে নির্মূল করতেই হবে। মাদকের পক্ষে কোনো মহলের তদবির শোনা যাবে না। আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে আরো শক্তিশালী করে চোরাচালান রোধ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদ হাসান, ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মাসুদ, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন-অর রশীদ, অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরদার সালাউদ্দিন মিন্টু প্রমুখ। এ সময় জেলার সব বিভাগের কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।