ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ আখ্যা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
গতকাল বুধবার তেহরানে সে দেশের আইনজীবীদের সঙ্গে এক আলোচনায় রুহানি বলেন, ইরানের সাধারণ জনগণের খাদ্য ও ওষুধকে টার্গেট করে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক অবরোধের ফলে ইরানের সাধারণ জনগণ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, এ যুদ্ধ ইরানের সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বরং এ দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, পরমাণু কর্মসূচি হ্রাস করার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে- এই শর্তে ২০১৫ সালে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) নামের চুক্তিতে সই করে ইরান।
- আরও পড়ুন >> সেই শিশুকে পাঠানো হচ্ছে ছোটমণি নিবাসে
শুরু থেকেই চুক্তির প্রতিটি শর্তই মেনে আসছে তেহরান। এর পরও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর অভিযোগ এনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ওই সমঝোতা থেকে বেআইনি ও একতরফাভাবে আমেরিকাকে বের করে নেন। সেই সঙ্গে ২০১৫ সালে তুলে নেয়া সব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
পরিপ্রেক্ষিতে ইউরেনিয়াম ও ভারী পানি (হেভি ওয়াটার) বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার প্রথম বার্ষিকীতে ৮ মে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এ ঘোষণা দেন।
মার্কিন সরকার বলছে, তারা ইরানের তেল বিক্রি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চায়।