জায়েদকে ফেসবুক থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলেন মাশরাফি

ক্রীড়া ডেস্ক

আবু জায়েদ রাহী
আবু জায়েদ রাহী
ত্রিদেশীয় সিরিজের মধ্যে হঠাৎ একটা খবর ছড়াল, আবু জায়েদকে বাদ দেওয়া হতে পারে বিশ্বকাপের দল থেকে। তাঁকে নিয়ে আরও কত কথা যে ভেসে এল ডাবলিন থেকে। আর এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তো আছেই। কেউ যদি সেখানে বলে ‘কান নিয়েছে চিলে’— যাচাইবাছাই না করে ঊর্ধ্বশ্বাসে সেই চিলের পেছনে ছোটা মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এত হইচইয়ের মধ্যে নিজের কাজে মনোযোগ ধরে রাখা ভীষণ কঠিন

কঠিন বলেই অভিষেকের ম্যাচে বোলিংটা ভালো হয়নি আবু জায়েদের। ৫৬ রানে ছিলেন উইকেটশূন্য। বোঝাই যাচ্ছিল ভীষণ চাপে আছেন। অভিষেক ম্যাচে সব খেলোয়াড়ই কমবেশি স্নায়ুচাপ অনুভব করে।

তবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কেন যেন মনে হচ্ছিল, বাইরের কথায় বিচলিত হয়ে পড়ছেন আবু জায়েদ, স্বস্তিতে বোলিং করতে পারছেন না। তাঁর প্রতি অধিনায়কের পরামর্শ, ‘মন খুলে বোলিং কর, যেমনটা প্রিমিয়ার লিগে, বিপিএলে করিস। মনে কোনো ভয় নিয়ে বোলিং করিস না। যেটা ইচ্ছা কর। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

দ্বিতীয় ম্যাচ মন খুলে, প্রাণ খুলে বোলিং করেছেন। পেয়েছেন ৫ উইকেট। গত কিছুদিনে তাঁকে নিয়ে এত আলোচনা, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, আবু জায়েদ আশাই করেননি, এতটা ভালো করবেন, ‘প্রথম দিকে মনে হচ্ছিল একটা উইকেট যেন পাই। টানা দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য যেন না থাকি। প্রথম ম্যাচে উইকেট পাইনি, আর বাইরের ব্যাপারটা মাথায় আনিনি। মাশরাফি ভাই একটা কথা বলছিল, যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ্য করতে পারো তাহলে ব্যবহার করো। সহ্য করতে না পারলে বন্ধ করে দাও।’

আবু জায়েদ যে বাইরের চাপ ‘সহ্য’ করতে পারেন, সেটি তো করেই দেখালেন। এতে তিনি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের প্রতিও, ‘‘অবশ্যই এটা খারাপ লাগার কথা। তবে এগুলো নিয়ে মাথা ঘামাইনি। রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাই, মুশফিক ভাই, মাশরাফি ভাই অনেক অনুপ্রাণিত করেছেন। সিনিয়ররা বলছিল, ‘এসব নিউজে মাথা ঘামাস না। তুই ভালো খেললে দলে অবশ্যই থাকবি।’’

আবু জায়েদ ভালো খেলেছেন। আপাতত দূর হয়েছে তাঁকে নিয়ে তৈরি হওয়া সংশয়ও। বিশ্বকাপে তিনি যেতে পারছেন হাসিমুখেই।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে