বরগুনার তালতলী উপজেলায় কচুপাত্রা গ্রামে শশুর কাঞ্চন আলী হাওলাদারের নির্যাতনে পুত্রবধু ফাতেমা বেগম এখন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামের কাঞ্চন আলী হাওলাদারের ছেরে আবদুল জলিল হাওলাদারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম। স্বামী জলিল হাওলাদার ও স্ত্রী ফাতেমা বেগমের দাম্পত্য জীবন বেশ ভালোই কাটছে। তাদের ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু পুত্রবধু ফাতেমা বেগমকে নানা অজুহাতে শশুর কাঞ্চন আলী হাওলাদার সহ্য করতে পারেন না। বিভিন্ন সময় শশুর কাঞ্চন আলী পুত্রবধু ফাতেমাকে মারধর করে আসছে।
এ বছর জানুয়ারি মাসে শশুর কাঞ্চন আলী হাওলাদারের কাছে জমির ধান চাওয়ায় ফাতেমাকে মারধর করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। গত চার মাস ধরে ফাতেমা স্বামী-সন্তান নিয়ে বাবা আকবর গাজী বাড়ীতে অবস্থান করছে। এ নিয়ে শশুর কাঞ্চন আলী হাওলাদারের সাথে পুত্রবধু ফাতেমার সাথে কয়েক দফায় শালিস বৈঠক হয়েছে।
- আরও পড়ুন>> বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬, আহত ২০
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার বাদশা তালুকদারের নির্দেশে দফাদার কুদ্দুসকে সাথে নিয়ে পুত্রবধু ফাতেমা শুক্রবার সকালে শশুর বাড়ীতে যায়। ওই বাড়ীতে পৌছা মাত্রই কুদ্দুস দফাদারের উপস্থিতি শশুর কাঞ্চন আলী হাওলাদার, ভাসুর সুলতান হাওলাদার ও ননদ শিল্পী বেগম পুত্রবধু ফাতেমা বেগমকে বেধরক মারধর করে। পরে আহত পুত্রবধুকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজড়া বলেন, ফাতেমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
আহত পুত্রবধু ফাতেমা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার শশুর, ভাসুর, দেবর ও ননদ মিলে আমাকে নির্যাকন করে আসছে। শশুরের নির্যাতনে গত চার মাস ধরে স্বামী-সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ীতে অবস্থান করেছি। শুক্রবার কুদ্দুস দফাদারকে নিয়ে শশুর বাড়ীতে আসলেই আমাকে শশুর, শাশুরী, ভাসুর ও ননদ মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
কুদ্দুস দফাদার বলেন, আমি ফাতেমাকে নিয়ে ওই বাড়ীতে পৌছা মাত্রই আমার সামনে শশুর কাঞ্চন আলী হাওলাদার, ভাসুর সুলতান ও ননদ তাকে বেধরক মারধর করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
ভাসুর সুলতান হাওলদার বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের বৌ আমাদের নামে মামলা দেয়ায় বাবা রাগ করে তাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তবে সে মারধরের কথা অস্বীকার করেন।
তালতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, আমি এ ঘটনার খবর পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।