মোদির বিজেপি আবার ভারতে ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)।
একাধিক ‘এক্সিট পোল’ বা বুথফেরত জরিপে এমনটাই তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে আজ রোববার রাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
টাইমস নাও-ভিএমআর-এর জরিপ অনুযায়ী, গতবারের মতো এবারও ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে চলেছে বিজেপি। এনডিএ পেতে পারে ৩০৬টি আসন।
ন্যায় প্রকল্প এনে চেষ্টা করলেও এবারও ব্যর্থ হচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) জোট। তারা পেতে পারে ১৩২টি আসন। অন্যান্যদের ঝুলিতে যেতে চলেছে ১০৪টি আসন।
লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয় রোববার সন্ধ্যায়। এর ফলাফল ২৩ মে। সন্ধ্যায় বুথফেরত জরিপ আসার আগে থেকেই তা নিয়ে দেশজুড়ে টানটান উত্তেজনা দেখা দেয়। লোকসভায় ৫৪২ আসনের মধ্যে ক্ষমতায় যেতে প্রয়োজন হয় ২৭২টি আসনের।
নিয়েলসন কোম্পানির বুথফেরত জরিপে বলা হচ্ছে- বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ২৬৭ টি আসন। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ পেতে পারে ১২৭টি আসন। আর অন্য দলগুলোর ঘরে যেতে পারে ১৪৮টি আসন।
বুথফেরত জরিপের ক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্র থেকে বেরনোর পরই ভোটারদের মধ্যে জরিপ চালানো হয়। বেশ কয়েকটি সংস্থা এই জরিপ চালায়। কোন দল কেমন ফল করবে, তার একটা আভাস এই সমীক্ষা থেকে পাওয়া যায়।
রিপাবলিক-সি ভোটার জরিপ বলছে, বিজেপির এনডিএ জোট ৩০০টি আসন পেতে পারে। আর টাইমসনাউ-ভিএমআরের জরিপ বলছে, বিজেপি ৩০০ আসনেরও বেশি পেতে। কংগ্রেস জোট পেতে পারে ১২৭টি আসন।
পোল অফ পোলসের হিসাব অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের ক্ষতি পূরণ করে নিতে পারবে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে ৪২ আসনের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ২৬টি আসন, ২ থেকে নিজেদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩ করতে পারে বিজেপি।
- বিশ্বকাপ : বাংলাদেশকে ইংলিশ অধিনায়কের ভয়
- ফখরুলের শূন্য আসনে আ.লীগের প্রার্থী নিকেতা
- চলে গেলেন অভিনেত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মায়া ঘোষ
অবশ্য বুথফেরত জরিপ আদৌ কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ২০০৪ সালেই বিজেপি-এনডিএ জোট সরকার ক্ষমতায় আসবে- এমনটা বলা হয়েছিল কোনও কোনও জরিপে, মেলেনি সেই সমীকরণ।
এদিকে বুথফেরত জরিপের আভাস প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, আমি এই বুথফেরত জরিপের গালগল্প বিশ্বাস করি না। গুজব ছড়িয়ে দিয়ে হাজার হাজার ইভিএম পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, আমি সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী এবং সাহসী থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এই লড়াই আমরা সবাই একসঙ্গে লড়ব।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তার দল বিজেপি কিংবা বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।