আঙুলের ছাপে খাবার মিলবে পথশিশুদের

বিশেষ প্রতিনিধি

আঙুলের ছাপে খাবার মিলবে পথশিশুদের
ফাইল ছবি

এক টাকার আহার কার্যক্রমে পরিচিতি পায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সুবিধা বঞ্চিত পথশিশুদের জন্য খাদ্য ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে এই সংগঠনের ব্যানারে কাজ করে যাচ্ছেন শত শত স্বেচ্ছাসেবক।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন পথশিশুদের জন্য দিনে অন্তত একবেলা খাবার নিশ্চিত করতে কাজ করছে । ঈদের পরে পথশিশুদের জন্য একবেলা খাবার ব্যবস্থা করবে বিদ্যানন্দের ফুড ভ্যান্ডিং কার্যক্রম।

শিশুরা নিজেদের আঙুলের ছাপ দিয়ে এ খাবার সংগ্রহ করতে পারবে ফুড ভ্যান্ডিং মেশিন থেকে। তবে ঈদের আগে এই কার্যক্রমে পথশিশুরা পাচ্ছে ইফতার।

এক টাকার আহার কার্যক্রমে পরিচিতি পায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সুবিধা বঞ্চিত পথশিশুদের জন্য খাদ্য ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে এই সংগঠনের ব্যানারে কাজ করে যাচ্ছেন শত শত স্বেচ্ছাসেবক।

জানা যায়, সংগঠনটি খাদ্য ও শিক্ষার পাশাপাশি দিনে দিনে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে আসছে। তারই অংশ হিসেবে উন্নত বিশ্বের ফুড ভ্যান্ডিং কার্যক্রম নিয়ে আসা হয়েছে এদেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য।

রমজানের শুরু থেকে রাজধানী মিরপুর, রায়েরবাজার, কড়াইল, ভাসানটেক সহ বেশি কিছু স্থানে বিদ্যানন্দ স্থাপন করে তাদের ফুড ভ্যান্ডিং মেশিন।

ঢাকার বাহিরে চট্রগ্রামের চারটি স্থানে ও কক্সবাজার তিন জেলায় মোট ১৬টি মেশিন স্থাপন করা হয়।

এই মেশিনে আঙুলের ছাপ দিয়ে কোনো টাকা ছাড়াই পথশিশুরা ইফতার সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারছে। এর প্রতিটি মেশিনে প্রতিবারে ৭২টি খাবার রাখা যায়।

বিদ্যানন্দের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের পর ফুড ভ্যান্ডিং কার্যক্রম আরো প্রসারিত করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগতা কিশোর কুমার দাস গণমাধ্যমকে জানান, তাদের নিয়মিত খাবার বিতরণ কার্যক্রমকে ফুড ভ্যান্ডিং মেশিয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে। এতে পথশিশুরা কমপক্ষে একবেলা খাবার পাবে। সেই সাথে খাবার নষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।

তিনি বলেন, মাঝ রাতে একটা পথশিশুর ক্ষুধা লাগতে পারে। তখন তাকে খাবার দেয়ার জন্য কেউ থাকে না। তখন তারা এই মেশিন থেকে খাবার নিতে পারবে।

কিশোর কুমার বলেন, আমরা পথশিশুদের ক্ষুধা নিবারণে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমকে ফুড ভ্যান্ডিংয়ে নিয়ে আসতে চাই। এতে করে আমরা প্রতিটি পথশিশুর জন্য কমপক্ষে এক বেলা খাবার নিশ্চিত করতে পারব।

বর্তমানে ১৬টি মেশিনের মাধ্যমে খাবার বিরতণ করা হলেও ঈদের পরে ১ টাকার বিনিময়ে মোট ৩০ টি মেশিনের মাধ্যমে খাবার বিরতণ কর্মসূচি চালু করা হবে বলে জানান বিদ্যানন্দের উদ্যোক্তা।

এছাড়া নারীদের জন্য স্বল্প মূল্যে স্যানেটারি ন্যাপকিন বিক্রির ব্যবস্থাও করা হবে এই মেশিনের মাধ্যমে। প্রতি মাসে নারীরা নিজেদের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে নামমাত্র দামে এই স্যানেটারি ন্যাপকিন পাবেন বলে জানান কিশোর কুমার।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে