বাংলাদেশ দলের তারকা ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাককে বিশেষ সম্মান জানাল আইসিসি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বিশেষ দূত হিসেবে থাকবেন জাতীয় দলের তারকা এ ক্রিকেটার।
রোববার রাতে মত ও পথকে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাকে দুই মাস আগেই আইসিসি থেকে এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। আমি এতে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে রাজ্জাক বলেন, আমার আসলে জানা নেই, আমার আগে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপে কোনো ক্রিকেটার শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন কিনা।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডে যাওয়া প্রসঙ্গে রাজ্জাক বলেন, আমার আসলে ২৮ মে ইংল্যান্ড যাওয়া কথা রয়েছে। সব কিছুই আইসিসি ম্যানেজ করছে।
জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বকাপ দলে না থেকেও ইংল্যান্ড যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বিশ্বকাপের ১২তম আসরে বিশেষ দূত হিসেবে থাকবেন রাজ্জাক।
আগামী ৩০ মে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে শুরু হবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। এবারের বিশ্বকাপের সময় লন্ডনে অবস্থান করবেন আব্দুর রাজ্জাক। বিশ্বকাপের সময় লন্ডনে আইসিসির বিভিন্ন প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন রাজ।
২০০৭ সালে হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন আব্দুর রাজ্জাক। এরপর ২০১১ সালের বিশ্বকাপেও খেলেন খুলনার এই বাঁ-হাতি স্পিনার।
আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ দলের হয়ে ১৫৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০৭ উইকেট শিকার করেন। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২০৭ ম্যাচ খেলে ইতিমধ্যে ২৬৪ উইকেট শিকার করে শীর্ষে রয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ১৯৮ ম্যাচে ২৪৯ উইকেট শিকার করে দ্বিতীয় পজিশনে সাকিব আল হাসান।
ওয়ানডে ক্রিকেটের পাশাপাশি আব্দু রাজ্জাক ১৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলে শিকার করেন ২৮ উইকেট। আর টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ৩৪ ম্যাচ শিকার করেন ৪১ উইকেট।
সবশেষ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলেন রাজ্জাক। তিন বছর পর জাতীয় দলে ফিরে চমক দেখান তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর না নিলেও ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন রাজ্জাক তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন।