খাদ্যে ভেজালকারীদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করলেন নাসিম

ডেস্ক রিপোর্ট

খাদ্যে ভেজাল
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম খাদ্যে ভেজালকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ।

আজ সোমবার সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে তরীকত ফেডারেশনের ইফতার অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এই দাবি জানান তিনি।

universel cardiac hospital

রোজায় ভেজালবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে সরকারি নানা সংস্থা। তাদের অভিযানে নিম্ন মানের খাদ্যপণ্যের জন্য জরিমানার মুখে পড়ছে নামি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও।

নাসিম বলেন, আমরা ১৪ দলের পক্ষ থেকে খাদ্যে ভেজালকারীদের কঠোর শাস্তি দাবি করে আসছি। এই ভেজালকারীরা মানুষ রূপী নরপিশাচ। শুধু অর্থ দণ্ড নয়, ১৪ দলের পক্ষ থেকে আমরা দাবি করছি, এই ভেজালকারীদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। এদের কোনোভাবে ক্ষমা করা যেতে পারে না।

খাবারে ভেজাল নিয়ে উদ্বেগ থেকে সম্প্রতি আদালতও সরকারকে এর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করার আহ্বান জানিয়েছে।

নিরাপদ খাদ্য আইন সংশোধন করে খাবারে ভেজাল মেশানোর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান যোগ করার প্রস্তাবও সম্প্রতি তুলেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

নিরাপদ খাদ্য আইনে না থাকলেও বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি ধারায় খাবারে ভেজাল মেশানোর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রয়েছেন; তবে তার প্রয়োগ দেখা যায় না।

খাদ্যে ভেজালের জন্য বিএনপি-জামায়াতকেও দায়ী করেন আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম।

তিনি বলেন, মানুষ পুড়িয়ে রাজনীতি করে, এমন একটি রাজনৈতিক দল আছে, তাদের দ্বারাই সম্ভব এই ধরনের নরঘাতক ব্যবসা, খাদ্যে ভেজালের ব্যবসা করা।

১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম কৃষকদের ধানের ন্যয্য মূল্য পাওয়া নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, মাননীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও, বিদেশে রপ্তানি করে হলেও কৃষকের ন্যয্য মূল্য নিশ্চিত করব। এর জন্য ১৪ দলের পক্ষ থেকে মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। অর্থনৈতিক শক্তি বাঁচানোর মূল নিয়ামক কৃষককে বাঁচানোর জন্য যা যা করণীয়, আপনাদের করতে হবে। অতিদ্রুত কৃষকের ন্যয্যমূল্য নিশ্চিত করুন, এটা আমরা দাবি করছি।

অনুষ্ঠানে তরীকতের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, দেশে যে সব ধর্মীয় রাজনৈতিক দল বাঙালি জাতীয়তাবাদ অস্বীকার করছে, তাদের নিষিদ্ধে ঈদের পর আদালতে যাবেন তারা। ইসলামের নামধারী যতগুলো রাজনৈতিক দল আছে, যারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, এমন প্রতেকটি দলের নামে নির্বাচন কমিশনকে কারণ দর্শানোর জন্য বলব এবং হাইকোর্টে রিট করব।

এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন এবার বর্ষবরণের সময় এক মৌলভী সাহেব বলে বসলেন, ইসলামে এটার ইয়ে নেই। আরে বর্ষবরণে ইসলামের কী আছে? বাঙালি জাতীয়তাবাদ বা জাতিসত্ত্বা আমরা কোনো ধর্মের কাছে বিকিয়ে দিতে যাই নাই। ধর্মকে এনে আমার জাতীয়তাবাদ, এটাতে হস্থক্ষেপ করার অধিকার কাউকে দেই নাই।

জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধে আদালতে গিয়ে ফল পাওয়ার পর এক্ষেত্রেও আশাবাদী মাইজভাণ্ডারী।

ইফতার অনুষ্ঠানে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন, তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীও বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে