রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) বিরুদ্ধে ভোট কেনার জন্য টাকা ছড়ানো থেকে শুরু করে ধর্মীয়ভাবে বিভক্তিকরণের অভিযোগ রয়েছে। এবার সেই আরএসএসের সংখ্যালঘু সেল মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ (এমআরএম) নতুন আরেকটি মাদ্রাসা চালু করতে যাচ্ছে।
জানা গেছে, প্রথাগত শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে সেখানে। এর আগে ভারতে পাঁচটি মাদ্রাসা চালু করেছে এমআরএম। উত্তরাখণ্ডে এটাই প্রথম। কয়েক মাসের মধ্যেই দেহরাদূনে মাদ্রাসাটি চালু করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর প্রচারক হিসেবে রাজনীতির দরজায় পা রাখেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯৮৫ সালে আরএসএস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
এদিকে এমআরএম প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাগুলোতে আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। শুধু সিলেবাসভিত্তিক পাঠ না দিয়ে, এসব মাদ্রাসায় সাধারণ জ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি পড়ানো হয়।
উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ, হাপুর, বুলন্দশহরে একটি করে এবং মুজাফফরনগরে দু’টি মাদ্রাসা নির্মাণ করেছে এমআরএম। এবার চালু করা হচ্ছে দেহরাদূনে।
- ৩৪ পয়েন্টে ওয়াসার পানি পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের
- ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুবিধার ওপর স্থিতাবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের
- প্রথমবারের মতো ২ লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন
এ ব্যাপারে এমআরএমের সম্পাদক তুষার কান্ত হিন্দুস্তানি বলেন, আমরা চাই না শিক্ষার্থীরা কেবল কাজি, কারিস, ইমাম, মাওলানা, মুফতি তৈরি হোক। তাদের মধ্যে থেকেও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক, বিজ্ঞানিও তৈরি হোক।
মুসলমান ছাড়াও যে কোনো ধর্মের শিক্ষার্থী এই মাদ্রাসায় ভর্তি হতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।