বিক্রি শুরু হবে বুধবার, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই টিকিটের জন্য কমলাপুরে ভিড়

মহানগর প্রতিবেদক

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই টিকিটের জন্য কমলাপুরে ভিড়
ফাইল ছবি


প্রথম দিন দেওয়া হবে ৩১ মের ট্রেনের টিকিট। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।

আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনসহ রাজধানীর পাঁচটি স্টেশন থেকে সারাদেশের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

প্রথম দিন দেওয়া হবে ৩১ মের ট্রেনের টিকিট। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।

universel cardiac hospital

অগ্রিম টিকিট পেতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

জানা যায়, ভিড় কমাতে এবার রাজধানীর আরও চারটি স্টেশন থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে।

এ ছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটে বিক্রি করা হচ্ছে টিকিট। বাড়তি চাপ সামাল দিতে স্টেশনে বসানো হয়েছে র‌্যাব-পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প।

সরেজমিনে দেখা যায়, একদিন আগেই কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ভিড় জমিয়েছেন যাত্রীরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ নিয়মিত ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ালেও বেশিরভাগই দাঁড়িয়েছেন অগ্রিম টিকিট যদি পেয়ে যান, সেই আশায়।

এদিকে টিকিট বিক্রির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রেলওয়ে। টিকিট বিক্রিতে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম ঠেকাতে মাঠে থাকবে মনিটরিং টিম ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। পাশাপাশি থাকবেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

দুর্ভোগ কমাতে এ বছরই প্রথমবারের মতো রাজধানীর পাঁচ স্থানে বিক্রি করা হবে ঈদের টিকিট। ওই পাঁচ জায়গায় পর্যাপ্ত বুথ ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ফলে ঘরমুখো মানুষ কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে হলেও টিকিট কিনতে পারবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই পাঁচটি স্টেশনের মধ্যে কমলাপুর স্টেশন থেকে থেকে যমুনা সেতু হয়ে পশ্চিমাঞ্চলগামী সবকটি ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে।

বিমানবন্দর স্টেশন থেকে দেওয়া হবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট।

তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন এবং বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোণাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে।

প্রথম দিনে দেওয়া হবে ৩১ মের টিকিট। বৃহস্পতিবার দেওয়া হবে ১ জুনের টিকিট। শুক্রবার দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট, ২৫ মে দেওয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট।

অন্যদিকে ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেওয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।

রেল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭২ হাজার টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই হিসেবে ঈদের পাঁচ দিনে তিন লাখ ৫০ হাজার যাত্রীকে সেবা দেবে রেলওয়ে। ৯৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেনও নামবে।

ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (এক জোড়া), চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (দুই জোড়া), খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে মৈত্রীর রেক দিয়ে খুলনা ঈদ স্পেশাল, ঢাকা-ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে ঈশ্বরদী ঈদ স্পেশাল, লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি ঈদ স্পেশাল, ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া স্পেশাল-১ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া স্পেশাল-২ চলবে। এর মধ্যে শোলাকিয়া স্পেশালগুলো ঈদের দিন সেবা দেবে।

রেল সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নাগরিকদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে রেলওয়ে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে