ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, সংকট সমাধানে সংলাপের দিক দিয়ে তার দেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপে বসবে না তেহরান।
তিনি সোমবার রাজধানী তেহরানে আলেম ও ধর্মীয় নেতাদের এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে সংলাপ ও কূটনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি কিছুতেই (আমেরিকার সঙ্গে) সংলাপের অনুমতি দেব না।”
ইরানের প্রেসিডেন্ট জানান, গত বছর জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি যখন নিউ ইয়র্ক সফর করছিলেন তখন পাঁচজন বিশ্বনেতা তাকে সংলাপের প্রস্তাব দিলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এ ছাড়া, গত বছরই ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে আটবার আলোচনায় বসার প্রত্যাখ্যান করে ইরান। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বলে প্রেসিডেন্ট রুহানি জানান।
ইরানের শীর্ষ নির্বাহী বলেন, “এই মুহূর্তে পরিস্থিতি মোটেও সংলাপের অনুকূলে নয়। আজ আমাদের নীতি হচ্ছে প্রতিরোধ এবং দৃঢ় মনোবল প্রদর্শন করা।”
আমেরিকার চাপ ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের মোকাবিলায় ইরানের সরকার ও জনগণ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকবার ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি এমন সময় এ আগ্রহ প্রকাশ করছেন যখন তার পূর্বসূরি বারাক ওবামা প্রশাসনহ আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে ব্যাপকভিত্তিক আলোচনার পর পরমাণু সমঝোতায় সই করে তেহরান।
কিন্তু গত বছর ট্রাম্প সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনিভাবে ওই সমঝোতা লঙ্ঘন করে এটি থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন। ইরান বলছে, যে ব্যক্তি একবার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে তার সঙ্গে আরেকবার আলোচনায় বসা সম্ভব নয়।