মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসিত এই রাজ্যে বিজেপির প্রবল উত্থান ঘটেছে এবারের নির্বাচনে। গত নির্বাচনে এই রাজ্যে মাত্র দুটি আসনে জয়ী হলেও এবার ১৮ আসন বগলদাবা করেছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি।
ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পরদিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় হামলা-পাল্টা হামলা ও বাড়িতে ঢুকে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার রাজ্যের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
দুর্গাপুরের লাউদোহা এলাকার পাটশাওড়া গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় বিজেপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
রাতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের বাড়িতে ঢুকে রড দিয়ে মারধরের পাশাপাশি নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসিত এই রাজ্যে বিজেপির প্রবল উত্থান ঘটেছে এবারের নির্বাচনে। গত নির্বাচনে এই রাজ্যে মাত্র দুটি আসনে জয়ী হলেও এবার ১৮ আসন বগলদাবা করেছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি।
দলের এমন উত্থানের পর রাজ্যের বিজেপি নেতাকর্মীরা সামনে ক্ষমতায় আসার স্বপ্নে চাঙ্গা হয়ে উঠছে।
এর মাঝেই শুক্রবার ভোরের দিকে পাটশাওড়া গ্রামে তৃণমূলের কর্মী প্রতিমা বাগদির বাড়িতে রড, শাবল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বিজেপির নেতাকর্মীরা। ভাঙচুর তাণ্ডবের পর মারধর করা হয় প্রতিমার পরিবারের সদস্যদের।
মারের হাত থেকে রেহাই পায়নি বাড়ির নারী সদস্যরাও। তৃণমূল বলছে, বিজেপির নেতাকর্মীরা তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর করে হাত ভেঙে দিয়েছে। ঘর থেকে টেনে বের করে নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করা হয়।
এই ঘটনায় দুর্গাপুর ফরিদপুর থানায় তৃণমূল অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার শালতোড়া এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে বিজেপির এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে তৃণমূল নেতার বাড়ি।
শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বিদ্যুৎ দাস নামের স্থানীয় বিজেপি নেতার বাম কানে গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শালতোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
- ৭ জুন পদত্যাগ করছেন তেরেসা মে
- ‘খালেদাকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলার মানসিকতা সরকারের নেই’
- কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করেননি প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতা কালীপদ রায়ের নির্দেশে পুলিশের সামনেই গুলি চালিয়েছে শাসকদলের কর্মীরা।
ঘটনার পর কালিপদ রায়কে গ্রেফতার ও শালতোড়া থানার ওসির বদলির দাবিতে থানা ঘেরাও করেন বিজেপি কর্মীরা।
তবে গুলি চালানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কালীপদ রায়। তার পাল্টা অভিযোগ, বিজেপির কর্মীরা অতর্কিত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে।