অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ১৩ জুন জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হতে পারে জানিয়ে বলেছেন, এবারের বাজেট হবে একটি স্মার্ট বাজেট। এতে বক্তব্য গতানুগতিক বিশাল আকারের হবে না। বক্তব্য হবে সংক্ষিপ্ত ও টু-দি পয়েন্ট। তাই বলে বাজেটের আকার ছোট হবে না। বরং যেকোনো সময়ের তুলনায় এটি হবে রেকর্ড বাজেট।
আজ শুক্রবার কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে থাকবে নতুন নতুন উদ্যোগ। আগামী বাজেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী পালনের প্রতিফলন থাকবে। তবে বেশি মনোযোগ থাকবে নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে। গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হবে যেখানে ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব ধরনের নাগরিক সুবিধা থাকবে।
ধানের দাম বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এবছর আমাদের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতেও অনেক বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে। বাইরে চাহিদা থাকলে আমরা রফতানি করতে পারতাম।
তিনি বলেন, আমাদের কৃষককে বাঁচাতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে চাল আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারলেও নিরুৎসাহিত করে সীমিতকরণ করতে পারি। ইতোমধ্যে সে লক্ষ্যে চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, প্রান্তিক কৃষককে লোকসানের হাত থেকে রক্ষায় জেলা ও উপজেলায় প্রশাসনের উদ্যোগে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। এতেও কৃষকের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার।
এছাড়া আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, মহিলা লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।