ভেজাল চকোলেট কারখানায় সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার হলেন যমুনা টিভির সাংবাদিক। বুধবার উত্তরখান এলাকার মাস্টারপাড়ায় ক্র্যাপ প্রোডাক্টস কারখানার কর্মচারীরা এ হামলা চালায়। তাদের ছোড়া ইটপাটকেলে যমুনা টিভির সাংবাদিক সাফা আহত হন। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। তবে পুলিশ আসার পরও কারখানার ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
ভেজালবিরোধী অভিযানে সক্রিয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। প্রতিদিনই গণমাধ্যমে নানা ভেজাল খাদ্যের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে রাজধানীর উত্তরখানের মাস্টারপাড়ায় ‘ক্র্যাপ প্রোডাক্টস’ কারখানায় সংবাদ সংগ্রহে যায় বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভির একটি দল।
কারখানার ভেতরে প্রবেশের আগেই সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পান প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা। যমুনা টিভির সাংবাদিকরা কারখানার গেটের সামনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভেতর থেকে কর্মচারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ধর! ধর! বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় ইটের আঘাতে আহত হন সাংবাদিক আখলাকুস সাফাসহ তার সহকর্মীরা। হামলা থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা চান যমুনা টিভির সাংবাদিকরা। খবর পেয়ে উত্তরখান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুলিশের উপস্থিতিতেও কারখানার ভেতরে ঢুকতে পারেননি সাংবাদিকরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ক্র্যাপ ডেইরি মিল্ক ও ক্র্যাপ স্পোর্টিক চকোলেট তৈরির জন্য বিএসটিআই থেকে অনুমোদন নেয়। কিন্তু ‘ক্র্যাপ প্রোডাক্টস’ নামের এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নাম ও মোড়ক নকল করে আসছে। বিদেশি চকোলেটের মোড়ক লাগিয়ে ভেজালপণ্য বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্র
- আরও পড়ুন>> বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং: দেশের মানুষের চোখে
তিষ্ঠানটির মালিক মো. রেদুয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে এ অপকর্ম করে বেড়ালেও কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্থানীয়রা দাবি করেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ভেজালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। অথচ রাজধানীর ভেতরেই ভেজাল কারখানা বসিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। শিশুদের খাবারে ভেজাল দিয়ে গুরুতর অপরাধ করছে। অবিলম্বে কারখানা বন্ধ এবং মালিককে গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।
জানতে চাইলে যমুনা টিভির সাংবাদিক আখলাকুস সাফা বলেন, আমরা খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে কারখানার গেটের সামনে যাওয়ামাত্রই আমাদের ওপর হামলা শুরু করে কারখানার ভেতরের কিছু লোক। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় সেখান থেকে আমরা চলে আসি।