পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আঞ্চলিক সংঘাতের ঝুঁকির বিরুদ্ধে হুশিয়ারি করেছেন। ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের পাকিস্তান সফরে তিনি এ কথা বলেন।-খবর রয়টার্সের
চলতি মাসে উপসাগরীয় অঞ্চলে সৌদি তেল ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র টানাপোড়েন এখন চরমে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারে সৌদি আরবকে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওই তেল ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় ইরানকে দোষারোপ করছে ওয়াশিংটন।
- আরও পড়ুন >> এভারেস্টে এক সপ্তাহে ৭ জনের মৃত্যু
আঞ্চলিক অস্থিরতার কথা উল্লেখ করে মধ্যপ্রাচ্যে বিমানবাহী রণতরী, বি-৫২ বোমারু বিমান ও প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও দেড় হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে দেশটি।
ইরানের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন চললেও তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ায় আমি উদ্বিগ্ন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা সৌদি আরবের নাম মুখে নেননি তিনি।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে যেকোনো সংকটে যুদ্ধ কোনো সমাধান নয় বলে জোর দিয়েছেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে অস্থিতিশীল একটি অঞ্চলে আরও উত্তেজনা বেড়ে গেলে কারও স্বার্থই হাসিল হবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে সব পক্ষকেই সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করতে হবে।
ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়াতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দিনের সফরে পাকিস্তানে আছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার বাড়ার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এই উত্তেজনা বড় হুমকি।