প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন করবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, একই দিন প্রধানমন্ত্রী কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করবেন। এরপর ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ নামের আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধন করবেন।
কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান জানান, নবনির্মিত কাঁচপুর সেতু ইতোমধ্যেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। নতুন দুটি সেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ করে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা কিছুটা হলেও আরামদায়ক হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ১৬ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন। নুরুজ্জামান জানান, জাপানি ঠিকাদারি প্রষ্ঠিান ওবায়সি কর্পোরেশন, শিমঝু কর্পোরেশন, জেএফএফ কর্পোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর কাজ শুরু করে।
আরও পড়ুন>> পরিবর্তন আসছে মাদ্রাসা কারিকুলামে
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এই তিনটি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের জাইকা ৬ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। এই প্রকল্পে প্রস্তাবিত ব্যয়ের তুলনায় ১ হাজার কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে এবং ২০১৯ সালের জুনে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে তারা।’
প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ‘২০১৬ সালের জুলাইতে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে নির্মাণ কাজ চার মাস বন্ধ থাকে। এ কারণে সরকার নির্মাণ কাজ ৬ মাস বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়। তবে সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের সাত মাস আগেই সম্পন্ন হয়।’
জানা গেছে, ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ নতুন কাঁচপুর সেতু নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে শেষ হয়। নতুন কাঁচপুর সেতু পুরাতনটির চেয়ে প্রস্থে ২ মিটার বেশি। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই পুরাতন সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করেছে।
প্রকল্প পরিচালক নুরুজ্জামান বলেন, ‘১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৩০ মিটারের দ্বিতীয় মেঘনা ও ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৪১০ মিটারের দ্বিতীয় গোমতি সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জনসাধারণের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৩১ মে কাঁচপুর সেতুর পূর্বাংশের ওভারপাস খুলে দেয়া হবে।’