কমলাপুরে ৩ জুনের টিকিট পেতে জনস্রোত

মহানগর ডেস্ক

৪ জুনের টিকিট পেতে কমলাপুরে জনস্রোত
ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২২ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত যথাক্রমে ৩১ মে, ১ ও ২ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রথম দুইদিন ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ক্রয়ে ভিড় থাকলেও তৃতীয় দিন শুক্রবার ছিল টিকিট প্রত্যাশীদের সর্বোচ্চ ভিড়।

তবে আজ শনিবার চতুর্থদিন জনস্রোতে পরিণত হয়েছে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন।

আজ দেওয়া হচ্ছে ৩ জুনের (সোমবার) টিকিট। ৩ জুনের টিকিট সংগ্রহে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যে জনস্রোত সৃষ্টি হয়েছে তাতে বিগত তিনদিনের উপস্থিতির চেয়ে অনেক বেশি।

কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেতে অনেকেই মধ্যরাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন, আবার কেউবা ভোরে দাঁড়িয়েছেন। টিকিট প্রত্যাশীদের প্রতিটি লাইন এঁকে বেঁকে চলে গেছে স্টেশনের বাহিরে। সকাল ৯টায় পর্যন্ত লাইন স্টেশনের বাহিরে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড পর্যন্ত চলে গেছে।

গত বুধবার (২২ মে) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২৬ মে পর্যন্ত। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবার ঢাকার পাঁচটি স্থান থেকে রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। কমলাপুরে শুধুমাত্র যমুনা সেতু দিয়ে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।

দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, রাত ১১টা থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি কিন্তু এখনও টিকিট কাউন্টারে পৌঁছতে পারিনি, সামনে এখনো অনেক মানুষ। যেহেতু পরিবার নিয়ে বাড়ি যাব, তাই ট্রেন ছাড়া বাসে যাওয়া কঠিন। বাধ্য হয়ে এত কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাব কি-না জানি না।

রাজশাহীগামী বনলতা ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক টিকেট প্রত্যাশী বলেন, আমি লাইনে দাঁড়িয়েছি সকালে। আমার মূল টার্গেট ছিল অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট কাটা, কিন্তু অ্যাপসটি কাজ না করায় বাধ্য হয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এরপরও অ্যাপসে চেষ্টা করছি।

টিকিট কাউন্টারের কর্মরত স্টেশনের এক কর্মচারী জানান, আজ শনিবার অর্থাৎ ৩ জুনের টিকিটের জন্য কমলাপুরে সর্বোচ্চ ভিড়। যত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছে তত টিকিট আমাদের নেই। তাই অনেককে টিকিট না পেয়ে খালি হাতে ফেরত যেতে হবে।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, ঈদের সময় সবাই এসি টিকিট চান, কিন্তু আমাদের এসি সিট তো সীমিত। তাই সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয় না। প্রতিটি লাইনে মানুষ সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন। এছাড়া ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী তৎপর রয়েছে।

রেলভবন সূত্র জানা গেছে, অনলাইনে ঈদের সময় একসঙ্গে প্রায় দেড় লাখ হিট পড়ে। তবে সিএনএসবিডির যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে মাত্র ২০ হাজার লোড নিতে পারে। যে কারণে সাধারণ মানুষের অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট পেতে ভোগান্তি হচ্ছে।

এবার একজন যাত্রী চারটি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। ঈদের অগ্রিম বিক্রিত টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমে এবং স্টেশন কাউন্টার থেকে বাকি ৫০ শতাংশ টিকিট অগ্রিম বিক্রি করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে