লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসে চলছে ‘গৃহদাহ’। এমন পরাজয়ের দায় কাঁধে নিয়ে দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করতে চাইলেও তা গ্রহণ করেনি হাইকমান্ড।
তবে হারের জন্য নিজে দায় নিলেও রাহুল সিনিয়র নেতাদের ওপরও ক্ষোভ ঝেড়েছেন। দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তিনি বর্ষিয়ান অনেক নেতাকেই দুষেছেন।
ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন দলের স্বার্থ না দেখে সন্তানকে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই নেতাদের অদূরদর্শিতার কথাও।
কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় শনিবার রাহুলের এই রুদ্রমূর্তি দেখা যায় বলে জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যম। সদ্য অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি ৩০৩ আসনে জিতে সরকার গঠন করছে।
গতবারের নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। মাত্র ৫২টি আসন জিততে পেরেছে স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রভাগের দলটি।
এমন হারের জন্য সিনিয়র নেতাদের অনেকের নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির বিষয়টি উল্লেখ করে রাহুল ক্ষোভ ঝাড়েন, তিনি না চাইলেও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও মধ্য প্রদেশের কমল নাথ নিজেদের ছেলেদের মনোয়নের জন্য চাপাচাপি করেছেন।
এক্ষেত্রে সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের নামও উল্লেখ করেন রাহুল। তিনি বলেন, রাজস্থান ও মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও এসব কারণে খুব বাজে ফলাফল হয়েছে।
বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে যেসব স্লোগান রাহুল তুলেছেন নির্বাচনী প্রচারণার সময়, সেসব স্লোগানকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে না দেওয়ার জন্যও শীর্ষ নেতাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন কংগ্রেস সভাপতি।
বিশেষ করে রাফালে যুদ্ধবিমান ক্রয় চুক্তিতে দুর্নীতির বিষয়ে এবং ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে রাহুল যে প্রচারণা চালিয়েছেন, সেটা ক’জন অনুসরণ করেছেন, এ ব্যাপারে জানতে কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের হাতও দেখাতে বলেন কংগ্রেস সভাপতি।
- বৃহস্পতিবার শপথ নিচ্ছেন মোদি
- ঈদযাত্রায় সড়ক ও রেলপথে চরম নৈরাজ্য চলছে : ফখরুল
- মঙ্গলবার জাপান ও সৌদি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দায় কাঁধে নিয়ে রাহুল কংগ্রেসপ্রধানের পদ থেকে সরে যেতে চাইলেও তাকে ‘না’ করে দেয় কার্যনির্বাহী কমিটি। এমনকি বৈঠকে রাহুলের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন শীর্ষনেতারা। এর বদলে বাজে ফলাফলের দায় নেন কংগ্রেসের রাজ্যপ্রধানরা।
রাহুল ছাড়াও কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ছিলেন তার মা ও দলের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।