বাগেরহাটে মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা আ. সমাদ শেখ। আজ রোববার সকাল ১১টায় বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আ. সমাদ শেখ জেলার কচুয়া উপজেলার মেছোখালী গ্রামের মৃত ছবেদ আলীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার মেয়ে (২০) গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি খুলনায় শশুর বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে। পার্শ্ববর্তী শিয়ালকাঠি গ্রামের মো. ফাইজুল হক লাল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) কর্মরত। তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসেন। পরে ২ মার্চ আমার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মেয়েকে কু-প্রস্তাব দেন। আমার মেয়ে এর প্রতিবাদ করায় তিনি মেয়ের হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন। এক পর্যায়ে আমার মেয়ে স্যান্ডেল দিয়ে তার মুখে আঘাত করে। এতে লাল ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ ও তাকে কিলঘুষি মারেন। এ সময় আমার মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে লাল দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি ৩ মার্চ কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এর পরিপ্রেক্ষিতে কচুয়া থানার এসআই মো. জাহিদ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে আসেন এবং স্থানীয় লোকজন ও ইউপি সদস্যকে ডেকে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমাকে বলেন, বিষয়টি আমি মিমাংসা করে দিব। পরবর্তিতে এসআই জাহিদ আমাকে কচুয়া থানায় ডেকে নিয়ে বলেন, বিষয়টি মিমাংসা না করলে আপনার ক্ষতি হবে এবং ১০ বছরের জেল হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। আমি যা বলব আপনি সেই কাজ করবেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনার ৭ দিন মাথায় এসআই জাহিদ আমাদের বাড়িতে আসেন এবং তাহার পছন্দের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি সালিশ নামা তৈরি করেন। পরে সেখানে লাল, ইউপি সদস্য ও আমি ছাড়াও আরও ৪/৫ জনের সাক্ষর নেন। এতে আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। পরে আমি এসআই জাহিদ ও মো. ফাইজুল হক লালের বিরুদ্ধে বাগেরহাট পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করি।
আ. সমাদ শেখ বলেন, এরপর থেকে লালের ভাগ্নে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিক শেখ ও শ্যালক মান্নান সরদার অভিযোগ তুলে নিতে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এছাড়াও লাল গত ২২শে মে আমাকে হত্যার ও আমার মেয়ের সংসার ভাঙার হুমকি দেন। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও মৃত্যুর ভয়ে এখন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এ সময় তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর ও দুষ্কৃতিকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।