রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে রোববার যে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি সাধারণ ককটেল থেকে শক্তিশালী ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
সোমবার সাড়ে ১২টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণে আহত রিকশাচালক লাল মিয়া দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ডিএমপি কমিশনার এ কথা জানান।
এর আগে তিনি ঢামেক হাসপাতালে আসেন। পরে আহত রিকশাচালক লাল মিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ককটেল বিস্ফোরণে আহত রিকশাচালক লাল মিয়ার মাথার স্কাব ভেঙে ব্রেইনে চাপ লেগেছে। গতরাতে তার মাথার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখন সবকিছু নরমাল আছে। তবে সে এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। তার চিকিৎসার জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কাউন্টার টেরোরিজম, ডিবি, সিআইডি ঘটনাস্থলে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। কারা কি উদ্দেশ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটি কি ধরনের বিস্ফোরক তা কাউন্টার টেরোরিজমের বোম ডিসপোজাল ইউনিট খতিয়ে দেখছে। এটি পুলিশকে টার্গেট, নাকি অন্য কোনো লক্ষে করা হয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ককটেলটি পুলিশ ভ্যানে পেছনে আগে থেকেই রাখা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জনমনে ভীতি, নৈরাজ্য, অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য কোনো গোষ্ঠী এটি করতে পারে। জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না।
রোববার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী পুলিশ সদস্যসহ দু’জন আহত হন। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের গাড়ি পেছনের দিক থেকে আংশিক পুড়ে যায়।
এদিকে একটি সূত্র জানান, মালিবাগের ঘটনায় আহত নারী পুলিশ সদস্য রাশেদা খাতুনকে গতকাল রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডিএমপি কমিশনার তার চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়ে ঢামেকে আসেন আহত রিকশাচালকের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে।