জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কাজে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

জেলায় এনআইডি ছাপানো বন্ধ
এনআইডি। ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত সব ধরনের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

দেশের নির্বাচন কমিশন অফিসগুলোতে কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে গেলে তাদের হয়রানি না করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

universel cardiac hospital

আজ সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

ইসির সহকারী সচিব (গবেষণা ও উন্নয়ন) আরাফাত আরা স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, ইদানীং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে মাঠ পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা প্রার্থীকে সেবা দেয়া হচ্ছে না। নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। সেবা দিতে অহেতুক গড়িমসি/দীর্ঘসূত্রিতার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে।

এনআইডি সংক্রান্ত কোনো আবেদনপ্রার্থী নতুন অন্তর্ভুক্তি, সংশোধন, কর্তন বা স্থানান্তর সেবার জন্য অফিসে আসলে তাকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেবাপ্রার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হন এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

কমিশনের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে নির্দেশনায় বলা হয়, এনআইডি সংশোধন সেবা পেতে কোনো ব্যক্তি আবেদন করলে তা প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টের তিন দিনের মধ্যে আপলোড করে চেক বাই উপজেলা করে দিতে হবে। আবেদনকারীর কাছে বারবার ডকুমেন্ট চাওয়া যাবে না, চাহিত সেবা অনুযায়ী যে সব ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে স্বাক্ষরিত স্লিপের মাধ্যমে দিতে হবে।

বিভিআরএস কার্ড ম্যানেজমেন্টে কোনো আবেদনকারীর কাছে নোটে কোনো ডকুমেন্ট চাওয়া হলে তা আবেদনকারীকে দ্রুত জানাতে হবে। এ ছাড়া তদন্তে থাকা আবেদন দ্রুত তদন্ত করে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করবেন। তা না হলে আবেদনকারীর পক্ষে জানা সম্ভব নয় তার আবেদনটি কী অবস্থায় আছে এবং সেবা থেকে বঞ্চিত ও ভোগান্তির শিকার হবে।

নতুন অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে উপজেলা থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে জেলায় পাঠাতে হবে এবং জেলা থেকে প্রিন্ট করে সাত দিনের মধ্যে ভোটারের কাছে পৌঁছাতে হবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

নির্দেশনাটিতে আরও বলা হয়, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তার অফিসের কর্মচারীরা কীভাবে মানুষকে সেবা দিচ্ছে এবং এ বিষয়ে কত সময় নিচ্ছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ মনিটর করবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা তার নিজের অফিসের পাশাপাশি তার আওতাধীন উপজেলা নির্বাচন অফিস মনিটর করবেন এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা অফিস এবং তার আওতাধীন জেলা নির্বাচন অফিসগুলো মনিটর করবেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে