রমজানে নিয়মিত রোজা রাখছে সেই ঐশী

স্টাফ রিপোর্টার

রাজধানীর চামেলীবাগে নিজের বাসায় বাবা পুলিশ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও মা স্বপ্না রহমানকে হত্যাকারী ঐশী রহমানের কথা মনে আছে? বাবা-মাকে খুনের দায়ে আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া সেই ঐশী এখন গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দি।

কীভাবে একাকী তার সময় কাটে ওই ছোট্ট প্রায়ান্ধকার প্রকোষ্ঠে। কারা কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, এখন এই রমজানে নিয়মিত রোজা রাখছে একসময় উচ্ছন্নে যাওয়া ঐশী। নামাজও পড়ে নিয়মিত।

universel cardiac hospital

ঐশী যখন তার বাবা-মাকে হত্যা করে তখন সে নেশাসক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছিল। নির্বিবাদে নেশা করার জন্যই কফির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে এবং পরে কুপিয়ে হত্যা করে বাবা-মাকে। সেই নেশা এখন আর নেই ঐশীর মধ্যে। স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে সে। তবে এখন সে অনেক চুপচাপ। বিশেষ করে ফাঁসির আদেশ হওয়ার থেকে ঐশী আর আগের মতো আচরণ করছে না।

বাবা-মাকে হত্যার দায়ে ২০১৫ সালে ঐশীকে ফাঁসির আদেশ দেয় বিচারিক আদালত। তার বন্ধু রনির সাজা হয় দুই বছরের কারাদ-। পরে আপিলে ২০১৭ সালের ৬ জুন উচ্চ আদালত ঐশীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে। সেই থেকে ঐশী স্থায়ীভাবে কাশিমপুর মহিলা কারাগারের বাসিন্দা।

কারাসূত্র জানায়, নেশাসক্তি কেটে যাওয়ার পর থেকেই অনুশোচনা চলছে ঐশীর ভেতর। এখন প্রায়ই অনুশোচনায় নিস্তব্ধ হয়ে থাকে। নিজের সেলে ফুপিয়ে কাঁদে। এবার রমজানের শুরু থেকে রোজা রাখছে। তবে নাওয়া-খাওয়ার ব্যাপারে তেমন মনোযোগী নয়।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট সকালে চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই ঐশী বাসা থেকে পালিয়ে যায়। 

পরদিন ১৭ আগস্ট মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান এ ঘটনায় পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই দিনই ঐশী পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে তার বাবা-মাকে খুন করার কথা জানায়। পরে ২৪ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় ঐশী। তবে পরে ওই জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু সাক্ষ্য, আলামত ও অন্যান্য যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে তা নাকচ হয়ে যায়। 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে