শিশুকাল থেকে জাপানের জন্য নিজের টানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে এটা তার মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে।
১২ দিনের ত্রিদেশীয় সফর শুরুর আগে আজ মঙ্গলবার জাপানের শীর্ষ গণমাধ্যম দ্য জাপান টাইমসে ‘উন্নয়নের জন্য জাপান-বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব’ শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শৈশব থেকেই জাপান নিয়ে আমার মধ্যে মোহ কাজ করত। আমি জাপানি চিত্রকলা, ক্যালেন্ডার, ডাক টিকেট, পুতুল ইত্যাদি সংগ্রহ করতাম। জাপান সব সময়ই আমার হৃদয়ের কাছে।
নতুন যুগকে ‘আশা ও ঐকতানের’ যুগ হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, নতুন এই যুগ আমাদের আরও কাছে টানুক, সম্পর্ক গভীরতর করুক এবং আমাদের শিশুদের জন্য নিরাপদ ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সহায়তা করুক।
‘কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে সেবা ও শিল্প খাতনির্ভর প্রবৃদ্ধির পরিক্রমায়’ বাংলাদেশের রূপান্তরের কালে জাপানি বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ওই নিবন্ধে তিনি ‘বাংলাদেশকে আরেকটি জাপান হিসেবে গড়তে’ তার বাবার আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেন।
এ ছাড়াও জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং মানুষের উন্নততর জীবনমান নিশ্চিত করতে চলমান বৃহৎ অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই বিনিয়োগের সবচেয়ে উদার ও উপযোগী পরিবেশের সুযোগ দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২৮-৩০ মের টোকিও সফরের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটাই জাপানে তার প্রথম সফর। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি জাপান সফর করেন।