অনেকেরই পোষা কুকুর, বিড়াল, খরগোশ কিংবা পাখি নিয়ে নিজের বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস আছে। কিন্তু তাই বলে সিংহ? শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও নিজের কম্বলের নিচে জ্যান্ত একটা সিংহ নিয়ে শুতে পছন্দ করেন এক ব্যক্তি।
৩৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম জুলফিকার চৌধুরী, থাকেন পাকিস্তানের মুলতান শহরে।
ছয় মাস আগে জুলফিকার বনের রাজা সিংহকে কারও কাছ থেকে কিনে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর সেটাকে অন্যান্য পোষা প্রাণির মতোই বাড়ির মধ্যে রেখে পুষতে থাকেন।
বাব্বার নামে সিংহটির ওজন এরই মধ্যে ৭৬ কেজি ছাড়িয়েছে। প্রতিদিন তাকে খেতে দেওয়া হয় ৭ কেজি কাঁচা মাংস।
জুলফিকারের বিরাট বাংলো বাড়ির সর্বত্রই সিংহটি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করে। সিংহটির নিজস্ব একটা ঘরও আছে। যেখানে বিশালাকৃতির খাট, কম্বল আর এসিও লাগানো আছে।
নিজের ২ বছর বয়সী একটা ছেলে থাকলেও জুলফিকার কখনোই সিংহটাকে চেইন দিয়ে বেঁধে রাখেন না। তিনি সেটাকে নিজের পোষা কুকুরের মতোই মনে করেন।
জুলফিকার বলেন, বাব্বার (সিংহ) আমার সন্তানের মতো। আমি যখন ওকে এখানে এনেছি তখন ওর বয়স ছিল মাত্র ২ মাস। সে এখানে ছয়মাসেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছে।
তিনি আরও বলেন, সিংহ আমার খুব পছন্দ। ওকে নিয়ে আসার আগে আমি আমার পরিবারকে জানায়নি। একবারে নিয়ে এসে তবেই সবাইকে জানিয়েছি।
জুলফিকার জানান, সিংহটাকে দেখে তার পরিবারের কেউ অখুশী হয়নি। সবাই বরং ওকে প্রতিদিন দেখতে আসে। তার ছোট্ট ছেলেটিও সিংহটার সঙ্গে খেলে।
জুলফিকার বলেন, সিংহটা নিজের পরিবারে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছি। তবে তিনি ৩ হাজার ২০০ ইউরো দিয়ে সিংহটা কোথা থেকে কিনেছেন তা জানাতে রাজী হননি।
শখের সিংহ পুষতে জুলফিকার চৌধুরী প্রতি মাসে ২ হাজার ৪০০ ইউরো খরচ করেন। প্রতিদিন সিংহটাকে নিয়ে হাঁটতেও বের হন তিনি।
জুলফিকার জানিয়েছেন, তার বাড়ির আশেপাশের লোকজনও এখন আর সিংহটাকে ভয় করেন না। বরং প্রতিবেশী ও দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা বাব্বারের সঙ্গে সেলফি তুলতে পছন্দ করেন। আর বাব্বারও মানুষের সঙ্গে খেলা করতে ভালবাসে।
সূত্র : ডেইলি মেইল