অবশেষে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯ পদ শূন্য ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট

সপ্তাহ দুয়েক আগে ঘোষিত ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

universel cardiac hospital

২৯ মে তারিখে সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এর জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করা হলো। পরবর্তী সময়ে যাচাই বাছাই করে পদগুলো পূর্ণ করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে ১৯ পদ শূন্য ঘোষণার কথা বলা হলেও কোন কোন পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি। এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এর আগ, গত ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কমিটিতে বিবাহিত, ব্যবসায়ী, ছাত্রদল-শিবির ও মাদকাসক্তদের স্থান দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত একটি অংশ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে। ওই দিন সন্ধ্যায় তারা মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে পদপ্রাপ্ত ও তাদের সমর্থকদের হামলার শিকার হন। পরে এ ঘটনায় ছাত্রলীগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পাঁচ জনকে বহিষ্কার করে।

কমিটিতে পদবঞ্চিতরা অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের এই কমিটির শতাধিক নেতা ‘বিতর্কিত’। তাদের বাদ দিয়ে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবি জানান তারা।

এর মধ্যে গত ১৫ মে মধ্যরাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জানান, নতুন কমিটির ১৭ জন ‘বিতর্কিত’ বলে অভিযোগ পেয়েছেন তারা। তাদের নির্দোষ প্রমাণে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে পদ শূন্য ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। তবে এর পরদিনই কমিটির ‘বিতর্কিত’ ৯৯ জনের তালিকা প্রকাশ করেন পদবঞ্চিতরা।

এদিকে, বিক্ষোভকারীদের ‘বিতর্কিত’ ৯৯ জনের তালিকা আমলে নেওয়া তো দূরে এ কথা, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের ঘোষণা করা ১৭ জন ‘বিতর্কিত’র বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং গত সোমবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়েই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেয় ছাত্রলীগ।

রোববার রাতে এ ঘোষণা আসার পর দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন পদবঞ্চিতরা। ‘বিতর্কিত’দের কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার দাবি পূরণ না হলে রাজু ভাস্কর্যেই ঈদ করার ঘোষণা দেন তারা। তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি এখনো চলছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে