স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছর ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেল চালু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেল নির্মাণের অগ্রগতি বিষয়ক এক সভা শেষ তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এ বছরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের পূর্ত কাজ শেষ হবে। অন্যদিকে, মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত পূর্ত কাজ শেষ করতে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। এর বাইরেও আরও কিছু কাজ আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সম্পূর্ণ রুটের ট্রায়াল রান শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল।
এতদিন পর্যন্ত অবশ্য চলতি বছরের ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের একাংশ চালুর কথা বলা হচ্ছিল সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে। তবে মন্ত্রীর ঘোষণায় রাজধানীবাসীর কাঙ্ক্ষিত এই প্রকল্পের উদ্বোধনের সময়টি পিছিয়ে গেল।
দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই পাতাল রেলের দু’টি অংশ থাকবে। প্রথম অংশটি বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, দ্বিতীয় অংশটি পূর্বাচল রোড নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত। এরই মধ্যে এই পাতাল রেল বা আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইসহ বিভিন্ন সার্ভে শেষ হয়েছে। মূল নকশা প্রণয়নের কাজও শেষের দিকে।
২০২৬ সালের মধ্যে এই পাতাল রেলের কাজ শেষ হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে একটি অংশের প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ঋণচুক্তি জাপানে প্রধানমন্ত্রীর সফরেই সই হওয়ার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেল রুট চালু হবে বলে জানান তিনি।
ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার ইফতারে সমস্যা হলে সরকার তার বিষয়টি দেখবে। তবে মির্জা ফখরুল যদি ইফ্তারের প্রসঙ্গটি সংসদে এসে বলতেন, তাহলে তার বক্তব্য আরও শক্তিশালী হতো।
মন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার আগে মেট্রোরেলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন সিদ্দিক। তিনি জানান, জাপানি মেট্রোরেলের যাত্রীবাহী কোচ নির্মাণের কাজ গত এপ্রিল মাসে শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ জুনে প্রথম মেট্রো ট্রেন সেট বাংলাদেশ পৌঁছাবে। বাংলাদেশের ট্রেন পৌঁছানোর পর জোড়া লাগানোর কাজ শুরু হবে।