জেদ্দায় মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব রুখতে আয়োজিত একটি বড় সম্মেলনে অংশ নিতে কাতারি কূটনীতিকদের সৌদি আরবে সফরের মধ্য দিয়ে মার্কিন সমর্থনে দোহা-রিয়াদের সম্পর্কের বরফ গলার আভাস পাওয়া গেছে।-খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের
সূত্র মতে, বছর দুয়েক আগে গ্যাস সমৃদ্ধ উপসাগরীয় ছোট্ট দেশটির বিরুদ্ধে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব।
এরপর এ সম্মেলনে কাতারের অংশগ্রহণকে দুই দেশের সম্পর্কের বড় বিনির্মাণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
দোহার বিরুদ্ধে রিয়াদের অভিযোগ, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সহায়তার মাধ্যমে সৌদি আরবের প্রভাব ক্ষুণ্ণ করতে চাচ্ছে কাতার।
আরব আমিরাত উপকূলে তেল ট্যাংকারে ও সৌদি তেল পাম্পিং স্টেশনে হামলার ঘটনায় সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার জরুরি বৈঠক ডেকেছে সৌদি আরব।
এতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।
বৃহস্পতিবার জেদ্দায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কাতারি উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সোমবার গত দুই বছরের মধ্যে এই প্রথম লোহিত সাগর তীরবর্তী বন্দর নগরীতে দোহার কূটনীতিকদের মধ্যে একজনকে বহন করে নিয়ে যাওয়া বিমান অবতরণের অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব।
এছাড়া গত দুই বছর ধরে কাতারের সব ফ্লাইটের জন্য সৌদি আকাশ বন্ধ রয়েছে। সৌদি আরব, বাহরাইন, ও আরব আমিরাতের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করে ইরানি পরমাণু চুক্তিতে নিজের সমর্থন অক্ষুণ্ণ রেখেছে কাতার।
কাতার স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের চেষ্টা করলেও মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি প্রভাব কাটছাঁটে তেহরানের ওপর মার্কিন চাপ প্রত্যাখ্যান করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চটাতে চায়নি।
কাতারের গ্যাস ও তেল স্থাপনা যাতে ইরানি ছায়া বাহিনীর হামলার শিকার না হয়, অর্থনৈতিক স্বার্থে সেটা নিশ্চিত করতে চাচ্ছে দেশটি।
এছাড়া উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি কাতারে অবস্থিত। পাম্পিং স্টেশনে ড্রোন হামলার নির্দেশ দিয়েছে ইরান বলে অভিযোগ করে আসছে সৌদি আরব।
ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাওয়া হুতি বিদ্রোহীরা।
ইরান ওই হামলার দায় অস্বীকার করেছে এবং দেশটির রাজনীতিবিদরা বলছেন, তারা কোনো সামরিক সংঘাতে জড়াতে চান না।