কয়েক ঘণ্টা পরেই দ্বিতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এরপর প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর স্মৃতি-স্মারকের সামনে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর ইন্ডিয়া গেটের সামনে তৈরি হওয়া ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
সন্ধ্যায় শপথ অনুষ্ঠান শুরুর আগেই একাধিক কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মন্ত্রিসভার গঠন থেকে শুরু করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবারও দু’জন প্রায় ৫ ঘণ্টা বৈঠক করেন।
সন্ধ্যা ৭টায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হবে। উপস্থিত থাকবেন প্রায় আট হাজার অতিথি। দেশীয় অতিথিদের পাশাপাশি বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান থেকেও প্রতিনিধিরা আসবেন।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক, রাষ্ট্রদূত থেকে শুরু করে সমাজের নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি ভবনে।
সূত্রে জানা গেছে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং তার মা সোনিয়া গান্ধীও উপস্থিত থাকবেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।
এদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত বদল করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মঙ্গলবার তিনি জানান, এটি সাংবিধানিক আমন্ত্রণ। তাই তাতে যোগ দেওয়া দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এবং তিনি সেই চেষ্টা করবেন।
কিন্তু বুধবারই নিজের সিদ্ধান্ত বদল করে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তৃণমূল খুন করেছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে তিনি অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না।
এছাড়া অন্য অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রী শপথ অনুষ্ঠানে থাকবেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।