‘সামান্য ভায়োলেন্সের মাধ্যমে সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে’

নির্বাচন ডেস্ক

ইসি সচি
ইসি সচিব।

নির্বাচন ভবনে নিজের বিদায়ী অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- এ দুটি বৃহত্তম নির্বাচন আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল, আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি। আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের সবার সহযোগিতায় আমরা সেটি করতে সক্ষম হয়েছি। যৎসামান্য ভায়োলেন্সের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজের বিদায়ী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ইসি সচিব। সম্প্রতি তাকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব করা হয়েছে।

স্মৃতিচারণ করে ইসির সাবেক এই সচিব বলেন, ‘আমি ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই এখানে সচিব হিসেবে যোগদান করি। প্রায় দুই বছরের কাছাকাছি সময় পর আমি আরেকটি মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছি। এখানে কাজ করা অবস্থায় আপনারা সবাই আমাকে যেভাবে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কারণ আমি আসার পরই আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ যে কাজটি ছিল সেটি হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করা। আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা সেটি করতে সক্ষম হয়েছি। মাননীয় নির্বাচন কমিশন আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, তাদের নির্দেশনা, পরামর্শ এবং তাদের দেখানো পথে এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে পেরেছি।’

হেলালুদ্দীন বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের অধীনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সুসম্পন্ন করা কিন্তু নির্বাচন কমিশনের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন অতীতে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অথবা সামরিক শাসনামলে অথবা রাজনৈতিক দলের অধীনে নির্বাচন হয়েছে বটে কিন্তু তাতে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। এমনকি ’৭০ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল সেই নির্বাচনেও কিন্তু সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। প্রথমবারের মতো এবার একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের অধীনে কেবল সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণই করেনি, মিনিমাম ভায়োলেন্সের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যেখানেই কাজ করি না কেন আমি এমনভাবে কাজ করি, যাতে সেখানকার মানুষ বা যাদের নিয়ে আমি কাজ করি সেখান থেকে আসার পর কমপক্ষে পাঁচটি বছর আমার কথা তারা মনে রাখেন। আমি সর্বাত্মকভাবে মন দিয়ে আমার কাজটা করার চেষ্টা করি।’

তিনি আরও বলেন, সরকার যোগ্য মনে করেছে বলেই আমি এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি চেয়েছি নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী হোক। সেজন্য কাজ করে গেছি।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা যদি ইভিএম ব্যবহার করতে পারি, তাহলে নির্বাচনকেন্দ্রিক যে সহিংসতা এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক মানুষের মধ্যে যে ভয়ভীতি সেটা অনেকাংশে কমে আসবে।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে