হজ ফ্লাইটের ৩২ হাজার টিকিট বিক্রি

ডেস্ক রিপোর্ট

হজ ফ্লাইট
হজ ফ্লাইট ফাইল ছবি

পবিত্র হজ পালনের লক্ষ্যে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য রাজধানীসহ সারাদেশের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সেলস্ কাউন্টার থেকে প্রায় ৩২ হাজার হজ ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, মোট বিক্রিত টিকিটের মধ্যে রাজধানীতে ২৬ হাজার ১৭৫টি, চট্টগ্রামে ৪ হাজার ২০৩টি, সিলেটে ১ হাজার ৪৪২টি ও কক্সবাজারে ৭৯টিসহ মোট ৩১ হাজার ৮৮৯টি টিকিট বিক্রি হয়।

তবে টিকিট বিক্রির পরিমাণ প্রায় ৩২ হাজার হলেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিটের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার প্রায় ৭ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৪২ হাজার ২৭৮টি পে-অর্ডার কেটেছে বিভিন্ন এজেন্সি।

সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রায় ৩২ হাজার টিকিট বিক্রি হলেও এখন পর্যন্ত সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের কোনো কনফার্ম টিকিট বিক্রি হয়নি। তবে সৌদি এয়ারলাইন্সের জন্য ১৬ হাজার ৩৬১টি পে-অর্ডার কেটেছে একাধিক হজ এজেন্সি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স বৃহস্পতিবার তাদের ফ্লাইট সিডিউল ঘোষণা করেছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে কনফার্ম টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রী হজে যাবেন। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার জন হজযাত্রী।

মোট হজযাত্রীর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শতকরা ৫০ ভাগ ও অবশিষ্ট ৫০ ভাগ সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স পরিবহন করবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, চলতি বছর সুষ্ঠুভাবে হজ সম্পাদনের লক্ষ্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও ধর্ম সচিব আনিছুর রহমানের নির্দেশনায় এবং হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে হজ-সম্পর্কিত সকল প্রয়োজনীয় কার্য়ক্রম পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

১৬ জুনের মধ্যে সব এজেন্সিকে ক্রয়কৃত টিকিটের কপিসহ ভিসার জন্য হজ ক্যাম্পে পাসপোর্ট জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, অনেক এজেন্সিই এখন বাড়িভাড়া করতে সৌদি আরব রয়েছে। ফলে টিকিট বিক্রিতে এখনো গতি নেই। তবে নির্ধারিত ১৬ জুনের আগেই টিকিট বিক্রি হবে বলে মনে করেন তিনি।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ হজ ম্যানেজমেন্ট পোর্টালে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট হজযাত্রীর নির্ধারিত কোটার মধ্যে সরকারি হজযাত্রীর কোটা ৬ হাজার ৮১৬ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত হয়েছে ৬ হাজার ৪৯২ জন (প্যাকেজ-১-এ ২ হাজার ২৬৪ জন ও প্যাকেজ-২-এ ৪ হাজার ২২৮ জন)। এসব হজযাত্রীদের মধ্যে ৬ হাজার ২২০ জনের পাসপোর্ট জমা হয়েছে। তার মধ্যে প্যাকেজ-১-এ ২ হাজার ১১৭ জন ও প্যাকেজ-২-এ ৪ হাজার ২২৮ জন। সরকারি হজযাত্রীর পিলগ্রিম আইডি প্রদান করা হয়েছে ৬ হাজার ২৩৭ জনের। সৌদি ই-হজ সিস্টেমে ৪ হাজার ৬২০ জনের পাসপোর্ট তালিকাভুক্ত হয়েছে।

অপরদিকে বেসরকারি ব্যবস্থানায় কোটা ১ লাখ ২০ হাজার। মোট ৫৯৮টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে এবারের হজ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন হজ এজেন্সি কর্তৃক ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৮৯ জনের পিলগ্রিম আইডি প্রদান করা হয়েছে। বেসরকারি গাইড এন্ট্রি হয়েছে ৩ হাজার ৩২৩ জনের।

গতকাল বুধবার (২৯ মে) পর্যন্ত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে ৮ হাজার ১০০ জনের পাসপোর্ট তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মোট ৩৪৬টি এজেন্সি ৫৫ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রীর টিকিট ক্রয়ের জন্য পে-অর্ডার ইস্যু করেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে